ePaper

উত্তেজনার ম্যাচে মিলানকে বিদায় করে ফেইনুর্ডের জয়যাত্রা

ক্রীড়া ডেস্ক

টুর্নামেন্টের ফেবারিট ও দ্বিতীয় সফলতম ক্লাব এসি মিলানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে ফেলেছে ফেইনুর্ড রটারডাম। প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে মিলানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র আর দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে শেষ ষোলোতে উঠে গেছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটি।

এর আগে প্রথম লেগে ফেইনুর্ডের কাছে ১-০ গোলে হারে মিলান। তবে গতকাল মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ১ মিনিটেরও কম সময়ে প্রথম লেগের ঘাটতি পূরণ করে ইতালিয়ান ক্লাবটি। সান্তিয়াগো গিমেনেজ তার সাবেক ক্লাবের (ফেইনুর্ড) বিপক্ষে গোল করেন। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মিলান।

দুই সপ্তাহ আগে ফেইনুর্ড থেকে মিলানে যোগ দেওয়া গিমেনেজ গোল করলেও খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখাননি। তবে সান সিরোর দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে।

বিরতির আগেই আরও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে মিলান। হোয়াও ফেলিক্সকে একটি সুযোগ তৈরি করে দেন গিমেনেজ। কিন্তু তার শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।

ফেলিক্সের আরও একটি শট প্রতিহত করেন ফেইনুর্ড গোলরক্ষক টিমন ওয়েলেনরথার। এরপর থিও হার্নান্দেজ ফিরতি বল পোস্টের পাশ দিয়ে মেরে দেন। প্রথমার্ধে অতিথিরা একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।

তবে ৫১ মিনিটে মিলানের হার্নান্দেজের লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মিলানের ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার সুযোগ কাজে লাগায় ফেইনুর্ড। ৭৩ মিনিটে ক্যারানজা দারুণ এক হেডের মাধ্যমে ডাচ ক্লাবকে সমতায় ফেরান।

ম্যাচের পর ক্যারানজা বলেন, ‘আমি এখনও অসুস্থ। আমি খুব ভালো অনুভব করিনি, তবে নেমে গোল করতে পারা সত্যিই অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।’

শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মিলান। থিয়াও একটি শক্তিশালী হেড করেন। শেষ পর্যন্ত দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলে ফেইনুর্ড জয় নিশ্চিত করে।

স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন মিলানের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার বলেন, ‘প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে খেলার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে ছিল। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত (হার্নান্দেজকে লাল কার্ড দেওয়া) খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’

শেষ বাঁশি বাজার পর সান সিরোতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ফেইনুর্ডের ডিফেন্ডার জিভাইরো রিড লাল কার্ড দেখেন।

এই স্টেডিয়ামেই ১৯৭০ সালে ফেইনুর্ড তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছিল। অতিরিক্ত সময়ে সেল্টিককে হারিয়ে ইউরোপিয়ান কাপ জেতে ডাচ ক্লাবটি। ওই আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে মিলানকেও ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।

শেষ ষোলোতে ফেইনুর্ডের প্রতিপক্ষ হবে ইন্টার মিলান অথবা আর্সেনালের বিপক্ষে। আগামী শুক্রবার ড্রয়ের মাধ্যমে সেটি নির্ধারিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *