রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি ঃ
নরসিংদীর রায়পুরায় চরসুবুদ্ধি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ এবিএম গাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের প্রক্সি পরীক্ষার সুযোগ প্রদান, জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে এডহক গঠনসহ একাধিক দুর্নীতি ও স্বে”ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্ধি বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মৃত মো. হাবিব উল্লাহ খানের ছেলে মো. ছাইফুল্লাহ খান। সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল্লাহ খান বলেন, ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির গ্রš’াগারিক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেন অধ্যক্ষ গাজিউর রহমান। ওই ভুক্তভোগীর সঙ্গে অধ্যক্ষের ফোন আলাপের একটি অডিও রেকর্ড আছে। এ ছাড়ও টাকা বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন তিনি। ২০২৪ সালে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে এডহক কমিটি গঠনের সাথে অধ্যক্ষ জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বাদ দেওয়াসহ তালিকায় ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ গাজিউরের দুর্নীতি ও স্বে”ছারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান এবং শিক্ষার্থীর হার কমেছে। এসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হই। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিযোগ করেও কোন তিকার পাইনি। এ সময় অধ্যক্ষ গাজিউর রহমানের দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন মো. ছাইফুল্লাহ খান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরসুবুদ্ধি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এবিএম গাজিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।