দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগের বহিষ্কৃত সদস্য আসাদুলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার অন্যরা হলেন, সান্টু ও নবীরুল ইসলাম।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, আটককৃত আসাদুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে- চুরির উদ্দেশেই তারা এ হামলা চালিয়েছে। তার সহযোগী হিসেবে অপর দুইজন ছিল। তবে র্যাব বলছে, এটা আসাদুলের বক্তব্য, র্যাবের নয়। র্যাবের বিস্তারিত জানাতে সময় লাগবে। র্যাব জানায় সেন্টু ও নবীরুল দু’জনই রঙ মিস্ত্রি।
এদিকে ইউএনওকে হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট যুবলীগ আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র্যাব। পরে এদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেয়া হয়। আর আসাদুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ইউএনও হামলার দায় স্বীকার করে আসাদুল।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পরেই কেন্দ্রীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে তাদের বহিষ্কার কর হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন—ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সদস্য আসাদুল ইসলাম। শুক্রবার বিকালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারের পর ভোরেই জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে তাকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।
ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।