বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার প্রায় ২৭টিতে শুধুমাত্র এপ্রিলেই প্রায় ৪ হাজার ২৪৯ জন নারী এবং ৪৫৬ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৭২ জন নারী এবং ৪২৪ শিশু জীবনে প্রথমবার এই ধরনের পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে গবেষণায় তুলে ধরে ‘মাই সিস্টার্স কিপার’।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস নোটে তারা বলছে, সাম্প্রতিক মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণাতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার প্রায় ২৭ টিতেই শুধুমাত্র এপ্রিলেই প্রায় ৪ হাজার ২৪৯ জন নারী এবং ৪৫৬ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন। যাদের মধ্যে প্রথমবার ১ হাজার ৬৭২ নারী এবং ৪২৪ জন শিশু জীবনে এই ধরনের পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এই নারীদের মধ্যে ৮৪৮ জন শারীরিক ভাবে, ২ হাজার ৮ জন মানুষিক, ৮৫ জনের বেশী সেক্সুয়ালী এবং ১ হাজার ৩০৮ জন নারী আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য নির্যাতিত হয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে নারীদের প্রতি সহিংসতা রুখতে এবং তাদের সাহয়তা করতে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির বাংলাদেশ লিডার ও মেম্বাররা গত ১১ই মে হতে তাদের প্রোজেক্ট ‘মাই সিস্টার্স কিপার’র মাধ্যমে সাহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আমাদের বিয়ে হয়েছে সাত বছর। বিগত সাত বছরে আমি কখনো আমার স্বামীর এমন আচরণ দেখিনি যা গত তিন মাস সহ্য করছি। আমার বাচ্চা ভয়ে তার বাবার কাছে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সেদিন রাতে সে আমাকে যে ভাবে মেরেছে তা এখনো মনে করলে আমার গায়ে কাটা দেয়।
আমি কখনো ভাবিনি এমনটাও ঘটবে আমার সাথে! ঠিক এমনটাই ওয়ার্ল্ড এক্যাডেমির ‘মাই সিস্টার্স কিপার’ গ্লোবাল প্রজেক্ট বাংলাদেশের লিডারদের জানিয়েছেন একজন ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের ভিকটিম।
ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির ফর দ্যা ফিউচার অফ ওমেন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষার্থীদের লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট এবং আত্মনির্ভরশীল করতে কাজ করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইউনিভার্সিটি অফ লেবেরাল আর্টস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে ১শ’ জন তরুণীকে নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেন ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি।
নারী ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলের জন্য তারা রোকেয়া সদন, কে.এন.এইচ. আহসানিয়া সেন্টার ফর এ্যবেন্ডান চিলড্রেন এন্ড ডিস্পিউট ওমেন, বন্ধু ফাউন্ডেশনসহ আরো বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে কাজ করে আসছে।