রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৪০ জন প্রবাসীদের বিনিয়োগ করা কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ের রামগঞ্জ প্রবাসী সিটি নামের একটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ভাদুর গ্রামের বাসিন্দা গাজী সামছুল ইসলামের ছেলে প্রকল্পের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গাজী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রামগঞ্জ প্রবাসী সিটি নামের এ প্রকল্পের সদস্যদের বিনিয়োগ ৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকা থেকে কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্পের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গাজী ইসমাইল হোসেন। এমনকি সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও ভুক্তভোগীরা এখনো ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে রামগঞ্জে একটি আবাসন প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়। লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল, সবাই মিলে বিনিয়োগ করে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে সমান মালিকানা নিশ্চিত করা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে ২৬ জন সদস্যের নামে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করা হয়। আরও ১৪টি শেয়ার পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ১নং অভিযুক্ত গাজী ইসমাইল হোসেনের নামে হস্তান্তর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সবাই প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছেন ১নং অভিযুক্ত গাজী ইসমাইল হোসেন। এই অর্থের কোনো হিসাব দিচ্ছেন না তিনি এবং নিজের নামে রাজধানী ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। তার সহযোগী ২নং অভিযুক্ত নুরুল হুদা (মনা) অবৈধভাবে আরও ৬টি শেয়ার নিজের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, “আমরা বিদেশে কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেছি, ভালোবাসার জায়গায় বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকার হিসাব চাই।” অন্য এক বিনিয়োগকারী বলেন, প্রকল্প যখন দেখতে যাই, তখন অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং হুমকি দেয়। এমনকি আমাদের জোরপূর্বক স্টাম্পে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।” এছাড়া বিনিয়োগকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং দ্রুত সুবিচার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গাজী ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য একাধিকবার চেষ্টা করে ও নেওয়া সম্ভব হয়নি।