ePaper

কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আনসার-ভিডিপির শীতবস্ত্র বিতরণ


মো. জাকের হোসেন
রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ২৫ নভেম্বরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি ও সকল সম্পদ হারিয়ে চরম মানবিক সংকটে পড়ে। পরিস্থিতির অবনতি ও শীতের তীব্রতা একসঙ্গে বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এই জরুরি বাস্তবতা বিবেচনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্রুত সহায়তায় এগিয়ে আসে এবং গতকাল ২৯ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৫০০ কম্বল বিতরণ করে। শীতার্ত মানুষের কাছে তাৎক্ষণিক উষ্ণতা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আনসার-ভিডিপির উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) সাইফুল্লাহ রাসেল গুলশান টিএন্ডটি মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন। তিনি বলেন, “শীতের তীব্রতা ও অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারানো মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার লক্ষ্যেই আজকের এই কম্বল বিতরণ কর্মসূচি। আমরা বিশ্বাস করি, এমন মানবিক উদ্যোগ সমাজে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।” এর আগে ২৮ নভেম্বর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের নির্দেশনায় কড়াইল বস্তির ভেতরে একটি জরুরি মানবিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়। ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনী সেবাকেন্দ্রটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন। সেবাকেন্দ্রটি গতকাল থেকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় দুই হাজার মানুষের জন্য পাঁচ দিনব্যাপী খাবার বিতরণ করছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা নিশ্চিত করছে। মানবিক সহায়তার ধারাবাহিকতার বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, “প্রতিটি শীতে বহু পরিবার পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে থাকে। সংকটাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আজকের কম্বল বিতরণ তাদের জীবনে সামান্য হলেও স্বস্তি এনে দিক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কম্বল ও খাদ্য সহায়তা পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে। দ্রুত মানবিক সাড়া বিশেষ করে শিশু, নারী ও প্রবীণদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ সহায়তা হিসেবে পৌঁছেছে। স্থানীয়ভাবে এমন সমন্বিত ত্রাণ কার্যক্রম অগ্নিকাণ্ড-পরবর্তী পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, মানুষের দুঃসময়েই পাশে থাকা তাদের স্থায়ী অঙ্গীকার। ভবিষ্যতেও যেকোনো সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সেবা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *