নওগাঁ প্রতিনিধি,
সরকারি হাসপাতাল মানেই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সাধারণের পকেট কাটা, ভোগান্তি , দালালদের দৌরাত্ম্য এবং বিড়ম্বনার অভয়াশ্রম – দীর্ঘদিনের এমন ধারণা কে ভুল প্রমান করে জনবান্ধব হাসপাতাল হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছে সদর হাসপাতাল, নওগাঁ। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা: জাহিদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও দিক নির্দেশনায় এবং চৌকস ও পরিশ্রমী আরএমও ডা: আবু জার গাফফার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক নতুন নতুন পরিবর্তন আসছে সেবার গুনগত মানে।
ব্লাড ব্যাংক সেবা রাত ১০ টা পর্যন্ত চালুকরন, ইকোকার্ডিওগ্রাম চালু, ইমার্জেন্সী রুমের আধুনিকিকরণ, ক্যাশ কাউন্টার পৃথকীকরণ , হাসপাতালের বাইরে পার্কিং জোন এবং আকর্ষণীয় ফুলের বাগান সহ পরিচ্ছন্নতায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। দালালদের দৌরাত্মও কমতে শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তোষ বাড়ছে, সাধারন মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছে এবং আগামীতেও এ ধারা চলমান থাকবে এমনটায় প্রত্যাশা করেন এ জেলার মানুষ। সেবা প্রার্থী কালিপুর গ্রামের ইমান আলী বলেন, “ এবার নওগা হাসপাতালে চিকিৎসা ভালো লাগিছে, আমরা কাম করে খাওয়া মানুষ , প্রাইভেটত চিকিৎসা করবার পারি না। তাই সরকারি হাসপাতালত আসি। ম্যালা ওষুদ পানু, টেস্ট করালো, ডাক্তার ভালো করে দেখিচে। সবকিছুই ভালো লাগিচে”। আরএমও ডা: আবু জার গাফফার বলেন, টেকসই পরিবর্তনে সময় দিতে হয়। আমাদের চিকিৎসক বৃন্দ, নার্স এবং স্টাফ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি। সাধারণ অপারেশনের পাশাপাশি নিয়মিত ল্যাপারোস্পিক সার্জারী হচ্ছে, সম্প্রতি অর্থোপেডিক্স ডিপার্টমেন্টে টোটাল হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারী হয়েছে , ইমার্জেন্সি অপারেশন হচ্ছে। আর এসবই কিন্তু সম্ভব হচ্ছে সংশ্লিস্ট সকলের আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের কারণে। আমরা শুধু সমন্বয় করছি। তত্ত্বাবধায়ক স্যারের নির্দেশনায় সবাই কাজ করে যাচ্ছি। অচিরেই আরো কিছু কাংখিত সেবা ও পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। তবে জানা গেছে, হাসপাতালটির ২৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন থাকলেও জনবল, পথ্য ও ঔষধ সবই ১০০ শয্যার বরাদ্দ হয়ে থাকে। সেখানেও প্রায় ২০ শতাংশ পদ শূন্য আছে। জনবল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে সেবার মান আরো ত্বরান্বিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
