নরসিংদীতে অপু দাস (৩৪) নামে এক ভিডিও প্রোগ্রাম ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছুরিআঘাতে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় আহত হয়েছেন আরও চারজন।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুর একটার দিকে নরসিংদী বাজার সংলগ্ন হাজীপুর স্টীলব্রীজ এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত অপু দাস হাজীপুর এলাকার মৃত অনিল দাসের ছেলে ও শহরের ভিডিওপ্রোগ্রাম ব্যবসায়ী।নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হাজীপুর এলাকার সাউন্ডবক্স ব্যবসায়ী মানিকের সাথে শহরের দত্তপাড়া এলাকার কতিপয় যুবকের বিরোধ চলছিল। পূর্ব এই বিরোধের জের ধরে মানিকের উপর হামলার উদ্দেশ্যে দুপুরে শহরের দত্তপাড়া মহল্লা থেকে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী ইজিবাইকযোগে হাজীপুরে যায়। এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সাউন্ডবক্স ব্যবসায়ী মানিক দৌড়ে হাজীপুর এলাকার ভিডিও প্রোগ্রাম ব্যবসায়ী অপু দাসের বাড়ির ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ির ভেতর গিয়ে মানিককে খোঁজ করতে থাকে।এসময় অপু দাসের ছোট ভাই শিবু দাস তাদের পরিচয় জানতে চায় এবং বাড়ির ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শিবু দাসকে মারধর করে আহত করে। খবর পেয়ে শিবুর বড় ভাই অপু দাস ছুটে এসে শিবুকে মারধরের প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাকেও ছুরিআঘাত করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন আল আমিন (৪৫) ও দিবাকর দাস (৪০)সিবু দাস(২৬) নামে আরও তিনজন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপু দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আল আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।নরসিংদী জেলা পুলিশের মিডিয়া সমন্বয়ক পুলিশ পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানিয়েছেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিট। ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন একজন নুরুল ইসলাম পিতা রহিম সাং বেপারী পাড়াকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পূর্ব বিরোধ নিয়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।পিভি আই পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন সংগীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ ঘটনায় সদর থানার এস আই মেহেদী হাসান ও আল আমিন সংগীয় ফোর্স সহ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁশির দাবী জানান স্বজনেরা।