ePaper

অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আয়ারল্যান্ড, ২ দিনে গ্রেপ্তার ২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের স্যাগার্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বড় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে অভিাবাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগে গত ২ দিনে ডাবলিন থেকে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯ জনকে। এই ২৯ জনের মধ্যে ২৩ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে গতকাল বুধবার। আইরিশ পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। বিক্ষোভের সূত্রপাত গত ২০ নভেম্বর সোমবার। সম্প্রতি নথিবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে আয়ারল্যান্ডের পুলিশ।। আটক নথিবিহীন অভিবাসীদের রাখা হচ্ছে বিভিন্ন হোটেলে। সোমবার স্যাগার্টের সিটিওয়েস্ট হোটেল থেকে ২৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আইরিশ পুলিশ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সের এক মেয়েকে যৌন নিপীড়ণের অভিযোগ ছিল। এই ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পর সিটিওয়েস্ট হোটেল ও তার আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনকারীরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। অতি উৎসাহী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে বসেন। পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল, ইট-পাটকেল, হাতবোমা এবং আতশবাজি ছুড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এতে কয়েক জন পুলিশ আহত হন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ২ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিক্ষোভ শুরুর পরের দিন মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরের দিন বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় আরও ২৩ জনকে। আয়ারল্যান্ডের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বিক্ষোভকারীদের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, যদি তারা শান্ত না হন— তাহলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে। বিক্ষোভকারীদের ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এক্সবার্তায় মন্ত্রী বলেন, “যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, প্রচলিত আইনের আওতায় তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিক্ষোভ যদি শান্ত না হয় তাহলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে।”

আয়ারল্যান্ডে শেষ অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল ২০২৩ সালে। আলজেরীয় বংশোদ্ভূত এবং পরে আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়া এক ব্যক্তি একটি প্রাথমিক স্কুলে হাশলা চালিয়ে তিন জন শিশু এবং এক কর্মচারীকে আহত করার পর বড় আকারের অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *