ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশ ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভাসমান দাকান। এসব দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। ফলে সবসময় জটলা লেগে থাকে মহাসড়কের দুই পাশে। এতে সৃষ্টি হয় যানজট এবং চরম দুর্ভোগে পড়েন চলাচলকারীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা এসব ভাসমান দোকানে সব সময় জটলা লেগে থাকে। তাই চলাচলের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। শ্রীপুর উপজেলার মাস্টারবাড়ী, মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসেতুর দুই পাশ, নয়নপুর, জৈনাবাজার ও গাজীপুর সদরের বাঘেরবাজার, নতুনবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাওনা চৌরাস্তা পশ্চিম পাশে মহাসড়কের ওপর রাস্তা বন্ধ করে ভাসমান দোকান বসানো হয়েছে। এতে মানুষ চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। এছাড়া উড়াল সেতুর নিচে বসছে ভাসমান ভ্যান গাড়ির ওপর ফলের দোকান। এজন্য সব সময় যানজট লেগেই থাকে ওই এলাকায়। সড়ক ও ফুটপাত দখলের ব্যাপারে ব্যবসায়ী এবং বাজার ইজারাদার পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। প্রশাসনের দাবি, ভাসমান দোকান উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মাওনা চৌরাস্তার আশপাশে ফুটপাতে গত তিন মাসেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি। এদিকে মহাসড়কের জৈনাবাজার উপজেলা প্রশাসনের ১ শতাংশ জমি না থাকার পরও বাজার ইজারা দেয়া হয়েছে। মাওনা চৌরাস্তা এমসি বাজার, বাঘেরবাজার ও ভবানীপুর বাজারের একাধিক বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, মহাসড়ক, সড়ক ও জনপথের জায়গায় ব্যবসা করেন তারা। ব্যবসার ধরন ও আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা জামানত, ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া এবং প্রতিদিন ৪০-৫০ টাকা করে খাজনা আদায় করছে বাজার কর্তৃপক্ষ।
প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের চালক জামান উদ্দিন বলেন, সড়কের পাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী এসব দোকানপাট এখন আর অস্থায়ী নয়। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নানা পণ্য বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানপাটের জন্য যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও দুর্ঘটনা ঘটছে। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এআরএম আল মামুন বলেন, মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী ভাসমান দোকান এবং বাজার উচ্ছেদ করার পর আবার দোকান সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টির প্রয়োজন।