বিয়ের পরে স্বামীর সংসারে সুখে রাখার তাবিজ দিতে গিয়ে ঝাঁড়-ফুঁকের নামে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন এক ভন্ড ফকির। এ ঘটনা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে ওই ভন্ড ফকির শঙ্কর দেবনাথকে (৭০) গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পাশাপাশি বুধবার এ ঘটনায় ভিকটমের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভিকটিমের মা বলেন, বরিশাল নগরের বাজার রোড সাগর গলি এলাকার বাসিন্দা ও ভন্ড ফকির শঙ্কর দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে শিশু-কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন রোগের ‘ফিকির’ (ঝাঁড়-ফুঁক) দিয়ে আসছিলেন। যিনি সম্পর্কে তার মামা শ্বশুরও হন।
তিনি জানান, তার মেয়ের জন্ডিসে আক্রান্ত। তাই তিনি শঙ্কর দেবনাথের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। শঙ্কর দেবনাথ তাদের বরিশালে আসতে বললে গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে বরিশালে এসে তার বাসাতেই ওঠেন।
ভিকটিমের মা বলেন, শনিবার রাত ১০ টার পরে শঙ্কর দেবনাথ জানান মেয়ের শরীরে জটিল রোগ বাসা বেধেছে, স্বামী সংসারে সুখে থাকবে না। শরীরের রোগ এবং বিয়ের পরে সংসারে সুখি হতে হলে তাকে নাওন (গোসল) দিতে হবে এই মর্মে ফকিরের ফিকির দেওয়ার কক্ষে রাখেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় আমি পাশের কক্ষেই ছিলাম। যেহেতু তিনি আমার মামা শ্বশুর, আর আগেও তার বাসায় আমরা আসা-যাওয়া করতাম। তাই সন্দেহের কিছু করিনি। কিন্তু আমার মেয়ে নাওন শেষে বের হয়ে জানায় তাকে কক্ষে আটকে ঝাঁড়-ফুঁকের নামে ধর্ষণ করা হয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ভয় দেখিয়ে ফিকির ঘরে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে ভিকটিমের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে অভিযানে নামে পুলিশ সদস্যরা। পরে নগরের বাজার রোড সাগর গলির ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ফকির শঙ্কর দেবনাথকে (৭০) আটক করা হয়। আর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ধর্ষক।