ePaper

গোপালগঞ্জের এসিল্যান্ড কার্যালয়ের কর্মচারীদের নামে বানোয়াট অভিযোগ

শাহীন মুন্সী, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) কার্যালয়ের কর্মচারীদের নামে বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ করেছে আঃ আহাদ নামের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি।

অভিযোগের সূত্র ধরে বেশ কিছু অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া “গোপালগঞ্জের ভূমি কার্যালয় যেন আজাবের দপ্তর” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দাপ্তরিক ও সামাজিক পর্যায়ে ব্যাপক সম্মানহানি কর পরিস্থিতিতে পড়েছে কানোনগো মুজিবর রহমান, এম. এল. এস. এস নাহিদ, মাসুদা আক্তার ও নাইট গার্ড নয়ন পাইক।

আঃ আহাদ নামের অজ্ঞাত ব্যক্তির করা ওই বানোয়াট অভিযোগপত্রটি গত ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে জমা দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ পত্রটির নিচে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সেটি গাজীপুরের আব্দুল আহাদ নামের এক ব্যক্তির। তিনি দৈনিক নবচেতনা কে মোবাইল ফোনে বলেন, আমি আঃ আহাদ নামের কাউকে চিনি না। তাকে না জানিয়ে তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে যে ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগ করেছে তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

অভিযোগের সত্যতা ও বাস্তবতা যাচাইয়ের জন্য গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) নবচেতনার প্রতিনিধি এসিল্যান্ড কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন করে। পরিদর্শন কালে সেবাগ্ৰহিতাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে দপ্তরটিতে সাধারণ মানুষদের কোন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না। খুব সহজে ও কম সময়ের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা পাচ্ছেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর মতে ভূমি দপ্তরের কর্মচারীদের ওপর কারো ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে এমন অভিযোগ করা হয়ে থাকতে পারে। সাধারণত সত্য অভিযোগের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা নাম প্রকাশ করেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করে থাকেন।

কানোনগো মুজিবর রহমান, এম. এল. এস. এস মোঃ নাহিদ শেখ, মাসুদা আক্তার ও নাইট গার্ড নয়ন পাইক নবচেতনা কে জানান, একটি গোপনীয় মহল তাদের ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে দাপ্তরিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদের নামে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মিজ বাবলী শবনম নবচেতনা কে বলেন, আমি যোগদান করার পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করে চলছি। আমার দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন অসৎ কাজকে আমি আশ্রয় প্রশ্রয় দেই না। কোন অপরাধীর স্থান আমার দপ্তরে হয় না। একটি কুচক্রী মহল আমার দপ্তরের সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে বানোয়াট, মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *