লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৪) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে বাহারুল আলম বাহার (২৯) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে থানার এস আই মহসিন চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষক বাহারুল আলম বাহারকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করে।
ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনাটি ঘটে গতকাল শনিবার (৮আগষ্ট) ৩টায় ভাটরা ইউনিয়নের বাড়খাড়া গ্রামের আবুল কালামের বসতরঘরে।
কিশোরী ফাতেমা আক্তার প্রিয়া উপজেলার ১০ নং ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের কন্যা।
আটককৃত বাহারুল আলম বাহার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আয়ুব আলীম মাষ্টার বাড়ীর হারুন অর রশিদের ছেলে৷
এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেন বাদী হয়ে রবিবার রামগঞ্জ থানায় বাহারুল আলম বাহার ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারসহ দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
এদিকে ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া -খোদ্দনগর গ্রামের সমাজ কল্যান সংঘের উদ্যোগে আজ (১০ জুলাই) সোমবার, সকাল ১১ টায় বাউরখাড়া মেইন সড়কে ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধন চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবী এবং সহযোগীদেরকে গ্রেপ্তার দাবীতে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমাজ কল্যান সংঘের উপদেষ্টা ডাক্তার নুরনবী মানিক, ইউপি মেম্বার নুরুল হুদা,বিল্লাল হোসেন,রেজাউল আশ্রাফ পলাশ,তানভীর সুলতান নিসাদ, সাদ্দাম ও সাব্বির হোসেন সহ প্রমূখ।
থানা সূত্রে ও মামলার বাদী লোকমান জানান, শনিবার (৮ আগষ্ট) সকালে বাড়ীর সর্ম্পকৃত নাতীন রাবেয়া আক্তার ও তার স্বামী বাহারুল আলম আমার মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে নিয়ে যায়। বিকাল ৩টায় প্রিয়া হৃদরোগে মারা গেছে বলে খবর দেয় এবং লাশ নিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তিতে বাহার ও তাঁর স্ত্রী দ্রুত চলে যায়। এদিকে বাড়ীর লোকজন লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে৷ পরে গোসল করানোর সাথে জড়িত একই গ্রামের সেলিনা আক্তার (৩৫) ও সেলিনা বেগম (৩০) প্রিয়ার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নসহ গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরনের বিষয়টি জানায়৷ বিষয়টি বাড়ীর লোকজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে তাদের পরামর্শক্রমে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান এবং রাতের আধারে বাহার পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে৷
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ঘটনার সাথে জড়িত বাহারুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকী আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যপারে কিশোরীর বাবা লোকমান হোসেন রবিবার বাহারল আলম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত বাহারুলল আলমকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।