স্পোর্টস ডেস্ক
ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ। গতকাল (মঙ্গলবার) আবুধাবিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ২০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় হার বাংলাদেশের। আগেরটি ছিল ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ১৪২ রানে হেরেছিল টাইগাররা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরও এক লজ্জার পুনরাবৃত্তি ঘটল। ২৮১৯ দিন—প্রায় আট বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফের শতরানের নিচে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এ নিয়ে ১৮ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এমন ভরাডুবি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদিন স্কোরবোর্ডে ছিল মাত্র ৮২ রান। সময়ের হিসেবে গতকালকের হারটি এসেছে ২৮১৯ দিন পর।পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটে লম্বা সময় ধরেই ছন্দে নেই বাংলাদেশ। মাঝে অধিনায়কত্ব পরিবর্তন করা হলেও ভরাডুবি বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খুব বাজেভাবে হারল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। শেষ ওয়ানডেতে যেন টাইগারদের ব্যর্থতার কঙ্কাল প্রকাশ পেয়েছে।সদ্য সমাপ্ত সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে আফগানদের দেওয়া ২৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে। ২৭.১ ওভারেই থামে মিরাজদের ব্যাটিং দৌড়। এটাই আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসেও রানের ব্যবধানে এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে আফগানদের বিপক্ষে গেল ম্যাচেই ১০৯ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এই ব্যর্থতায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ওয়ানডে পারফরম্যান্সের করুণ চিত্রটা আরও স্পষ্ট হয়—শেষ ১৩ ওয়ানডে ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে! এমন বিপর্যয়ের মধ্যেই দিন তিনেক পর আবারও মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। প্রশ্ন উঠছে, আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো মিরাজের দল?
