ePaper

সিরাজগঞ্জে শরতেই অতিথি পাখিতে রঙিন চলনবিল

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

জলবায়ুতে বৈশ্বিক পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন এসেছে পরিযায়ী পাখির মধ্যেও। প্রতিবছর শীতের শুরুতে চলনবিলে অতিথি পাখির সমাগম ঘটলেও এবার শরৎকালেই পাখির ব্যাপক আনাগোনা শুরু হয়েছে। নিরাপদ আবাস ও খাদ্যের প্রাচুর্য থাকায় হাজারো পাখিতে রঙিন হয়ে উঠেছে চলনবিল এলাকা। তাড়াশের উলিপুর, সোলাপাড়া, লালুয়া মাঝিড়া, মালশিনসহ চলনবিলের ৫৫-৬০টি গ্রামের বড় গাছের চূড়ায় এখন পাখির সমাহার। শামুকখোল, বক, ত্রিশূল, বালিহাঁস, রাতচরা, নীলশির, কোড়া, লালশির, বড় সরালি, ছোট সরালিসহ নানা পাখি গাছে বাসা বেঁধেছে। মাঠজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডাহুক, গাঙচিল, নানা প্রজাতির বক, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, চখাচখি, কাদাখোঁচা, মাছরাঙা, সারসসহ নাম না জানা পাখি। নিরাপদ পরিবেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর শরৎকালেই চলনবিলের প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার বৈচিত্র্যময় পাখির আনাগোনা পরিবেশবাদীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করছে। তাড়াশের বাবুল আকতার জানান, খাদ্যের সহজলভ্যতাসহ নানা কারণে শীত আসার আগেই চলনবিলে পাখির সংখ্যা বাড়ছে। এবার শরৎকালেই যে সংখ্যক পাখির আনাগোনা দেখা যাচ্ছে, সেটা গত এক দশকে দেখা যায়নি। শরৎকালে চলনবিলে পাখির আনাগোনা বাড়ার কারণ সম্পর্কে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. এম নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর চলনবিলে স্বাভাবিক বন্যা হয়েছে। এ কারণে শরৎকালেই বিলের জলাশয়ে প্রচুর খাবার মিলছে। খাদ্যের প্রাচুর্য ও সহজলভ্যতাই বালিহাঁস, শামুকখোল এবং অন্য পরিযায়ী পাখির এই বিল অঞ্চলে আসতে উৎসাহিত করছে। তাই এখানে পাখির আনাগোনা অন্য কয়েক বছরের তুলনায় বেড়েছে। নিয়ে কাজ করা তাড়াশের সাইফুল ইসলাম বলেন, বিস্তীর্ণ চলনবিলের নদী, খালবিল, জলাশয়, আমন ধানের ক্ষেত, পুকুর ও ডোবায় পাখির ঝাঁকের হাঁকডাক, ওড়াউড়ির দৃশ্য এ অঞ্চলে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *