মাকসুদ আলম(নোয়াখালী)সোনাইমুড়ী
সোনাইমুড়ী সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নোয়াখালী চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ম্যাটস) জুনিয়র লেকচারার ডা. মাঈনুল ইসলাম’র সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নোয়াখালী। গতকাল রোববার সকালে নোয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান উক্ত তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, সাবেক সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বর্তমানে নোয়াখালী চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ম্যাটস) জুনিয়র লেকচারার ডা: মাঈনুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে, তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছেন, আবেদনের সত্য তাও পেয়েছেন, অতি শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার কৌশল্যারবাগ গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে ডা. মাঈনুল ইসলাম ২০০০ সালে সোনাইমুড়ী বাজারের কলেজ রোডে মেডিকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়ন থাকলেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেননি, জয়াগ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় ওনাকে কেউ পায় নাই। তার বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতালের চাকুরি করা কালীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্য’র ছত্রছায়ায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার পদ নেন, আর রাতারাতি বলে জান আওয়ামী লীগের কর্ণধার, ডোনার, ও প্রভাবশালী চিকিৎসক, তখন থেকে সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ সমূলে আত্মসাৎ করে বিপুল অঙ্কের টাকার মালিক হন তিনি। বিগত ২৩ টি বছর তিনি সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থেকে ঢাকায় ৩ টি বিলাশ বহুল প্ল্যাট সহ কিনেছেন স্ব- নামে বেনামে, একেকটি প্ল্যাটের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা ও ২ টি বিলাশ বহুল গাড়ী ক্রয় করেন। কানাডায় তার সহোদরের মাধ্যমে ২ টি বাড়ি ক্রয় করেছেন। পার্শ¦বর্তী গ্রাম শিমুলিয়ায় জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। রাতারাতি মেডিকেয়ার হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে অন্যান্য শেয়ার হোল্ডারদেরকে বাদ দিয়ে সিল গালা করা হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে সোনাইমুড়ী বাজারে তার মায়ের নামে জমিলা মেমোরিয়াল হাসপাতালে রূপান্তরিত করেন, তার স্ত্রীর নামে ঢাকার পশ্চিম ধানমন্ডি ঝিকাতলায় ২২৭/৩, এ-৫, রোড নং- ১৯ ঠিকানায় ১ টি বাড়ি রয়েছে। বিভিন্ন নামে বেনামে ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণের টাকা। তার কয়েক কোটি টাকা মূল্যের কৃষি জমিও রয়েছে। তার শেয়ার হোল্ডার হানিফকে সু-কৌসলে হাসপাতাল থেকে বিনা হিসেবে বিনা লেন্দেনে তাকে বিতাড়িত করেন, নোয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সম্পদের তদন্ত চলছে। অতি শীঘ্রই তদন্ত শেষে প্রতিবেন দাখিল করা হবে। ডা. মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ হয়েছে তিনি জেনেছেন। নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্যরা সরেজমিনে এসেছেন উনারা যা করেন করবেন।
