রোকসানা পারভিন (ফরিদপুর) আলফাডাঙ্গা
ফরিদপুরের আলফডাঙ্গায় ইশারত মোল্যা (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী ইশারত সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। ইশারত মোল্যা আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মিঠাপুর গ্রামের মোকসেদ মোল্যার ছেলে। ভূক্তভোগীর ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী জামির হোসনের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমের দ্বারায় এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইশারত। জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে ইশারতের নামে ফরিদপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ফরিদপুর আদালতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলাটি সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইশারত ও তার পরিবারের লোকজন। এমনকি মামলার স্বাক্ষীরা মামলার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করতে পারে নি। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী আঞ্জু গত তিন থেকে চার বছরে ইশারতের নামে প্রায় দুই ডজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা আমাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন আঞ্জু। সে ঘটনার সাথে ইশাতর মোল্যা জড়িত না থাকায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। মামলার প্রধান স্বাক্ষী মো.সাকিব মোল্য জানান, ধর্ষণ বলতে আমি কিছু জানি না। মামলার তিন নম্বর স্বাক্ষী আপন চাচা আ. হক মোল্যা জানান, আমি এ ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি এ স্বাক্ষীর ব্যাপারে কিছুই জানি না। মামলার চার নম্বর স্বাক্ষী আপন চাচী রাবেয়া বেগম জানান, তিনি ঘটনার দিন ফোন পেয়ে ওই বাড়িতে যান। গিয়ে চিল্লাচিল্লি সুনতে পান। তবে আমি নিজ চোখে এ ঘটনার কিছু দেখেনি। ইশারত মোল্যার ভাষ্য, তিনি চার বছর ধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর প্রতি হিংসার শিকার। আঞ্জুর উদ্দেশ্য হলো ওই বাড়িতে আমাকে বসত করতে দিবে না। গত চার বছর ধরে অনন্ত ২০টির উপরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আলফাডাঙ্গা থানায়। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা আমাকে প্রধান আসামি করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় সে যাত্রায় আমাকে মামলার চার্জশিট থেকে অব্যহতি দেন। একই মনগড়া ঘটনায় অনন্ত ১৫টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আলফাডাঙ্গা থানায়। একই ঘটনায় গত মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর আদালতে আমার নামে মামলা করেছেন। তার ভয়ে বাড়িতে যেতে পারি না। তবে মামলার বাদী আঞ্জু ও পিতা, মাতা জানিয়েছেন, এটা সত্য ঘটনা তাই মামলা করা হয়েছে।
