রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি ১৬ সে. মি. কমেছে। গত বৃহস্পতিবার পদ্মার পানি বিপদ সিমার ৫৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল শনিবার পদ্মায় ১৬ সে. মি. পানি কমে বিপদ সীমার ৪০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ ষ্টেশন পয়েন্টে ৯.৫ পয়েন্ট অর্থাৎ বিপদ সীমার ৪০ সে. মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে কয়েকদিন যাবৎ। তবে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখনও বানভাসি মানুষদের বাড়ি ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এখনও কমেনি পদ্মা পাড়ের বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ-দূর্দশা। রান্না বান্না, গবাদিপশু ও শিশু বাচ্চাদের নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। দীর্ঘ সময় পানি থাকায় হাত পায়ে ঘা পচড়া সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বানভাসি মানুষেরা। সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে দুর্গতদের। বাড়ি ঘর থেকে পানি না নামায় তাদের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলেছে । নষ্ট হয়ে গেছে বাড়ি ঘর সহ সব আসবাবপত্র। বাড়ি ঘরে পানি থাকায় অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে এই বন্যার পানিতে। চারিদিক তলিয়ে যাওয়ায় বানভাসিরা পড়েছেন নিজেদের খাবার ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে। বন্যার পানি বেশি দিন স্থায়ী হওয়ায় ভোগান্তির কমছেইনা তাদের। অনেক স্থানে এখনও সরকারী ত্রান সাহায্য পাননি বানভাসি এসব মানুষেরা। কাজ কর্ম না থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের। এ যেন তাদের জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার আরেক যুদ্ধ।