কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ে যাদুরচর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে কর্মরত অফিস সহায়ক আব্দুল আলিম (৬০) ও তার ছেলে সাখাওয়ার হোসেন সবুজ (২২) নামের ২ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা।
রক্তাক্ত আব্দুল আলীম ও তার ছেলে সবুজকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনেন। এসময় দেশীয় অস্ত্র দ্বারা এলোপাথাড়ি কোপে আব্দুল আলীম গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রংপুর সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন ডিউটিরত মেডিকেল অফিসার আরিফ হোসেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার চাক্তাবাড়ির ঠনঠনিয়া পাড়ায় এঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল আলিম (যাদুরচর ভূমি অফিসের কর্মচারী) ও তার পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সবুজ সকাল ৯ টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাত্রাকালে চাক্তাবাড়ি ঠনঠনি পাড়া গ্রামের মাহফুজল হকের বাড়ীর উত্তর পাশে পথ রুদ্ধ করে থাকা চাঁন মিয়া (৪০), বাবলু মিয়া (৩৭), রাবেয়া আক্তার (৩৮), শাহাদত হোসেন (৩২), জাইদুল ইসলাম (৩৫), কছির উদ্দিন (৪৮) ও মিনা আক্তার (৪২) তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারিভাবে কোপাতে থাকে এবং অফিসিয়াল কাগজ পত্রাদিসহ জমাকৃত অফিসিয়াল টাকা পয়সা দ্রুত গতিতে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আব্দুল আলিম কোপের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আত্মচিৎকার শুরু করে। পড়ে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী তৎক্ষনাত আব্দুল আলিম ও তার ছেলে সবুজকে দ্রুত রৌমারী হাসপাতালে আনলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত আব্দুল আলিমকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোমেনুল ইসলাম বলেন, আব্দুল আলিমের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ দিকে আব্দুল আলিমের ছেলে সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি হত্যার চেষ্টার উপরোক্ত ব্যাক্তিদেরকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি আবু মো.দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।