কক্সবাজারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি ও টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন আসামিকে সাত দিন রিমান্ড এবং চার আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাদের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে র্যাব।
শুক্রবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান। তিনি বলেছেন, ‘প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি।’
তবে সিনহা হত্যা মামলার আসামিদের রিমান্ডের বিষয়ে আদালত থেকে কোনও কাগজপত্র এখনও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন। তিনি জানিয়েছে, ‘উক্ত মামলার রিমান্ডের আসামিদের বের করার কোনও ধরনের অনুমতি এখনও হাতে পৌঁছেনি। আদালত থেকে আদেশের কপি হাতে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপসহ ৭ জন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কক্সবাজার র্যাবের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ওসি প্রদীপ সহ তিন জনকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া বাকি চার আসামিকে দুদিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি প্রদীপসহ তিন জনকে সাত দিন রিমান্ড ও বাকি চার জন আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ পাওয়া চার জনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্যেও রাতে র্যাবের পক্ষ থেকে আরও একটি পিটিশন দায়ের করার কথা শুনেছি। তবে আদালত আদেশ দিয়েছেন কিনা জানি না। তখন আমি উপস্থিত ছিলাম না।’
প্রসঙ্গত, ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।