ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। রাজধানীর মতিঝিলে পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি রাখা এবং না রাখার বিষয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এই হামলার ঘটনাটি জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক এবং গণসংহতি আন্দোলন একে কঠোরভাবে প্রতিবাদ করেছে।
বুধবার, দুটি পক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। একদিকে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামক সংগঠন পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দটি রাখার দাবিতে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে একই দাবি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে যায়। এ সময় দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং হামলার ঘটনা ঘটে, যা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দেশে সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের মর্যাদা এবং অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে। তারা এই সহিংসতার ঘটনায় বিচার এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গণসংহতি আন্দোলন দেশের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। তারা দাবি করেছে, দেশের সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি জাতীয় সংবিধান সভা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত এবং এটি হতে হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের অংশ হিসেবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল জাতিগত সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত হবে।
এই ঘটনাটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সহনশীলতা এবং শান্তির গুরুত্বকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি।
Share Now