নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর দক্ষিণখানের কাওলায় আজ থেকে শুরু হলো ছয় দিনব্যাপী ‘শরৎ উৎসব’। দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন প্রতিষ্ঠান আশিয়ান গ্রুপ আয়োজিত এ উৎসব চলছে তাদের আধুনিক আবাসন প্রকল্প ‘আশিয়ান সিটি’ প্রাঙ্গণে। বিমানবন্দরের বিপরীতে হাজি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় প্রায় এক হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠছে এই বৃহৎ প্রকল্প। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে বিস্তৃত ‘আশিয়ান সিটি’ প্রকল্পে এখনই তিন, পাঁচ ও দশ কাঠার বাড়ি নির্মাণযোগ্য প্লট পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষা অবকাঠামো নিশ্চিতে প্রকল্প এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা রাখা হয়েছে। আশিয়ান গ্রুপ জানায়, ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রকল্পটি শেষ হবে। জমির দাম আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য নিজের বাড়ির স্বপ্ন পূরণ কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই বাস্তবতায় ‘আশিয়ান সিটি’ প্রকল্প সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করছে। আশিয়ান গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এমন একটি আবাসিক প্রকল্প তৈরি করতে চাচ্ছি, যেখানে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সবাই নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। ‘আশিয়ান সিটি’ সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে। উৎসব উপলক্ষ্যে থাকছে প্লট ক্রয়ের সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত ছাড়। এছাড়া ঘোড়ার গাড়িতে করে প্রকল্প ভিজিটে সুযোগ, ঘুড়ি উড়ানোর মহা-উৎসব এবং সরাসরি রান্না প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ। উৎসব চলবে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রাহকদের আস্থায় বিশ্বাস করি, আমরা তাদের কথা শুনি, তাদের চাহিদাগুলো প্রত্যাশা করি এবং অনুকূলভাবে কাজ করি। আমাদের নির্ভরযোগ্যতা, নমনীয়তা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী পণ্য ও পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে আর্থিক বৃদ্ধি এবং শক্তি স্বাভাবিকভাবেই আসবে। আমরা আমাদের জমি প্রকল্পের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে কম দামে আবাসনের জন্য গ্রাহকের মৌলিক চাহিদা পূরণে অংশীদার হতে চাই। আশিয়ান গ্রুপ স্বাস্থ্যসেবার মতো আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছে। আশিয়ান সিটি সংলগ্ন এলাকায় সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আশিয়ান হাসপাতাল ইতোমধ্যেই চালু করা হয়েছে। আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি আধুনিক, সুসজ্জিত এবং সজ্জিত কলেজ ও হাসপাতাল যেখানে কেবিন, জেনারেল ওয়ার্ড, কনসালটেন্ট চেম্বার, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যাথ ল্যাব, ডেন্টাল ইউনিট, ডায়ালাইসিস ইউনিট, আধুনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাব, কোভিড-১৯ ইউনিট, ২৪ ঘণ্টা জরুরি পরিষেবা রয়েছে। সরকার হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য একটি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন করেছে। আশিয়ান এডুকেশন সিটি প্রকল্পের আওতায় আশিয়ান সিটি সংলগ্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চলছে। আশিয়ান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে নেক্সাস ড্রিংকিং ওয়াটার, আশিয়ান টিস্যু, আটা, ময়দা, তেল এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করছে।
