ePaper

ময়মনসিংহে যৌতুক-পরকিয়ার বলি গৃহবধূ ঋতু- মানববন্ধনে অভিযোগ এলাকাবাসির

নাদিম,ময়মনসিংহ 

যৌতুক ও পরকিয়ার কারণে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া চরবড়বিলা এলাকায় পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূ ঋতু আক্তার (২৮) কে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার এবং এলাকাবাসি। গতকাল রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই অভিযোগ করা হয়। এর আগে মানববন্ধনকারিরা নগরীর কাচারি রোডস্থ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন মৃত ঋতু আক্তারের বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক, এলাকার বাসিন্দা মো. খাইরুল হক, আবুল হাসিম, হালিমা খাতুন ও মমতাজ বেগম প্রমূখ। সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন, ঋতু আক্তার দরিদ্র পরিবারের ভালো মেয়ে। কিন্তু তার স্বামী লম্পট এবং খুনি। পরকিয়ার কারণে সে স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। থানা পুলিশও তাদের এই নাটক বিশ্বাস করে অপমৃত্যু মামলা করেছে। আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। পারিবারিক জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে তারাকান্দা উপজেলার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ঋতু আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া চরবড়বিলা এলাকার সারোয়ার হোসেনের। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবন পেরিয়ে সম্প্রতি স্বামীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ তুলেন স্ত্রী ঋতু আক্তার। এতে অসন্তোষ্ট স্বামী প্রায়ই স্ত্রী ঋতু আক্তারকে মারপিট করত। এ ঘটনার জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় ঋতু আক্তারের। ঋতুর ভাই মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আমার বোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। কিন্তু এই ঘটনাটি তার শশুরবাড়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। পরদিন সকালে এলাকাবাসির মাধ্যমে মৃত্যুর খবর জানতে পেরে দেখি রান্না ঘরে আমার বোনের মৃতদেহ পড়ে আছে। তার গলায় বাধাঁ একটি ওড়না। এ সময় তারা জানায়- আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরে জানতে পারি যৌতুক ও পরকিয়ার কারণে আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *