দেশে নতুন করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সতর্ক পুলিশ সদস্যরা। তাই যে কেউ যাতে থানায় ঢুকতে না পারে সেজন্য থানার প্রধান গেটটি বন্ধ করে ছোট গেটটি খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশকে দেখে থানার ভেতর প্রবেশ করতে সাহস পাচ্ছেনা এক বৃদ্ধা নারী। থানার গেট ধরেই সাহায্য চাইছিলেন বৃদ্ধা।
৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম কর্মব্যস্ততার ভিড়েও এই দৃশ্যটি দেখতে পান। এসময় বৃদ্ধার পড়নে ছিল একটি ছেঁড়া শাড়ী এবং হাতে ছিল একটি ভিক্ষার ঝুলি। কর্মব্যস্ততার মধ্যেই ওই বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাছে যান ওসি। এসময় প্রতিবেদকের ক্যামেরায় বন্দি হয় মানবিক দৃশ্যটি।
বৃদ্ধা মহিলা গুন্নাহার ৭০ । উপজেলার মকিমপুর গ্রামের মৎস্যজীবী পাড়ায় বসবাস করে। ত্রিশ বছর আগে তার স্বামী ছাবের আলীর মৃত্যু হয়। বিধবা অসহায় বৃদ্ধা হয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত তার বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতা কোনোটাই হয়নি। দুই মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে প্রতিটি দিন অনেক কষ্টে চলতে হয়েছে তাকে। মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার পর দেখার কেউ না থাকায় অন্যের দ্বারে হাত পেতে চলছে তার জীবন। তাই সাহায্যের জন্য থানার গেটের সামনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন। এসব কথা শুনে ওসি মোজাহারুল ইসলাম তাৎক্ষণিক তার এলাকায় খোঁজখবর নেন এবং ওই বৃদ্ধা সত্যি অসহায় হওয়ায় তাকে ত্রাণ সহায়তা দেন।
ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, থানার গেটের সামনে ওই বৃদ্ধাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মানবিক কারণে তার কথা শুনি। তার বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড আছে কিনা দেখতে হবে। এলাকার মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করে তাকে সাহায্যের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।