নিজস্ব প্রতিবেদক
গেল তিন মাসে দর বেড়ে সোয়া দ্বিগুণে উন্নীত হওয়ার পর দুলামিয়া কটন কোম্পানি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের নগদে ৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ সাকল্যে ১৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অথচ গত তিন মাসের বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির শেয়ারের দর সাড়ে ৫৯ কোটি টাকা বেড়ে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা হয়েছে। গত ২৩ জুন দুলামিয়া কটনের শেয়ার ৬৫ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। গত রোববার লভ্যাংশ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিনে এর দর ১৫২ টাকা ৭০ পয়সা ওঠে। ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিটির ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ বাজারদর। যদিও সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূলধনের বিপরীতে এর পুঞ্জীভূত লোকসান প্রায় ৩৮ কোটি টাকা।২০১০ সালের অস্বাভাবিক উত্থান পর্বে মাত্র সাত কর্ম দিবসে ২২৩ থেকে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর ৫১৫ টাকা ২৫ পয়সায় উঠেছিল। তখন এর শেয়ারের অভিহিত মূল্য ছিল ১০০ টাকা। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের হিসাবে তখন সর্বোচ্চ দর উঠেছিল সাড়ে ৫১ টাকা। ওই উত্থানের পর কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছিল।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা দুলামিয়া কটন জানিয়েছে, ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি ২৮ পয়সা বা ১৯ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। এই মুনাফা এসেছে অন্যান্য আয় খাত থেকে। কোম্পানি সচিব কাজি একরামুল হক জানান, বন্ধ কারখানার কিছু অংশ ভাড়া দেওয়ায় সেই ভাড়াবাবদ অর্থ থেকে আয় এসেছে।
বাজার সংক্ষেপ
সোমবার তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। ২০৩ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৯৬টির দর। ডিএসইএক্স সূচক পৌনে ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩৮৯ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। কেনাবেচা হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার।
