কোরবানির ঈদকে উৎসবমুখর ও নিরাপদ করতে পশুর হাটের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
২৬ জুলাই রবিবার ডিএমপির এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়। এছাড়া নির্দেশনায় পশুর হাটে ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্যও কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোরবানির হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালা:
১. প্রতিটি হাটের প্রবেশপথ ও প্রস্থানের পথ পৃথক করতে হবে।
২. হাটে প্রবেশের মুখে হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বেসিন, পানির ট্যাংক ও সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. হাটে প্রবেশের মুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রসহ লোক রাখতে হবে।
৪. কোনোক্রমেই ফেস মাস্ক ছাড়া কোনো লোককে হাটে ঢুকতে দেয়া যাবে না।
৫. হাটে সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।
৬. করোনার উপসর্গ যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি নিয়ে কোনো ব্যক্তি হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
৭. যত কম সময়ে সম্ভব কোরবানির পশু কিনে হাট ত্যাগ করতে হবে।
৮. একজন বিক্রেতার কাছে বেশি ক্রেতা অযথা ভিড় করা যাবে না।
৯. অসুস্থ প্রাণী কোনোক্রমেই হাটে বেচাকেনার জন্য আনা যাবে না।
১০. শিশু ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের হাটে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে।