ePaper

শ্যামলী রোডে বিশ্বাস পরিবারের সার্বজনীন দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে

পিযুষ কুমার বিশ্বাস

প্রতিবারের ন্যায় এবারও শ্যামলী ২ নম্বর রোডে মহাসারম্বরে ঐতিহ্যবাহী বিশ্বাস পরিবারের শারদীয়া দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। এই দুর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে এক আনন্দ উদ্দীপনা এবং উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। মূলতঃ মহালয়া পরবর্তী মহাপঞ্চমীতে দেবীর বোধন থেকে শুরু করে দশমীতে দেবী বিসর্জন পর্যন্ত এই পাঁচ দিনব্যাপী দূর্গাপূজা পালিত হয়ে থাকে। এবার ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দূর্গা পূজার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। মর্তে দেবী দুর্গার আগমনে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা ভক্তিভরে দেবীকে বরন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। শরতে কাশফুলের কোমল শুভ্রতায় ঢাকের তালে ও কাশরের ঝংকারে দেবী দুর্গার আগমনী ধ্বনি যেন আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী বিশ্বাস পরিবারের অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও বাপার অন্যতম ব্যক্তিত্ব মিহির বিশ্বাস বলেন, দেবী দুর্গা স্বমহিমায় এই ধরায় পুনরায় আগমন করেছেন জগতের কল্যাণে, মানবতা রক্ষার্থে। জগত সংসারের সুখ শান্তি পুনঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি অশুভ অসুর শক্তির বিনাশে, ধর্ম পরিপালনে ধরায় এসেছেন প্রলংঙ্করী রূপে। অসুর নাশ করে ধর্ম প্রতিপালনের লক্ষ্য নিয়ে তার এই শুভাগমন। সকলের উপর দেবী দুর্গার আশীর্বাদ বর্ষিত হোক সেই কামনাতেই পুজো বেদীতে সকল ভক্তবৃন্দ নিমগ্ন রয়েছেন। যেহেত, আমাদের বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ সে কারণেই হিন্দু জনগোষ্ঠীর দুর্গাপূজাটি মূলতঃ একটি সার্বজনীন শারদীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। আমাদের দেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার এটিই প্রচলিত। এবং সব ধর্মের লোকেদের সহযোগিতায় এই উৎসবটি একটি আনন্দমুখর উৎসবে পরিণত হয়ে থাকে। এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পূজার সংখ্যা অনেক বেশি, এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট পূজাবান্ধব রয়েছে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এবার পূজার পরিবেশ যথেষ্ট ভালো রয়েছে বলে জানা যায়। সনাতন ধর্মের অনুসারীরা যাতে নির্বিঘ্নে দূর্গাপূজা করতে পারেন সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে মন্দিরে মন্দিরে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *