ePaper

যখন আশা হারিয়ে ফেলি, তখনই সব নতুন করে শুরু হলো : শবনম ফারিয়া

বিনোদন ডেস্ক

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া তার কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন— দুই কারণেই ভক্তদের মাঝে থাকেন আলোচনার কেন্দ্রে। সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করে আবার আলোচনায় এসেছেন। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুই পরিবারের উপস্থিতিতে এক ছিমছাম আয়োজনে মসজিদে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন ছিল, কেন ফারিয়া আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন? সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সেসব প্রশ্নেরই উত্তর মেলে। ভিডিওটিতে ফারিয়া তার দ্বিতীয় বিয়ে এবং স্বামী তানজিম তৈয়বকে নিয়ে নানা কথা বলেছেন।ফারিয়া জানান, তানজিম খুব ছোট ছোট বিষয় খেয়াল করেন। তার কথায়, “কোনো মানুষ অসুবিধায় পড়লে যে ‘তোমার কিছু লাগবে’—এমন কথা বলতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। এই ভদ্রলোকই প্রথম আমার জীবনে এমন অনুভূতি নিয়ে এলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার কি এটা করতে অসুবিধা হচ্ছে? আমি করে দিচ্ছি, তোমার করতে হবে না।’ বা ‘তুমি যাচ্ছ, তোমার কী লাগবে?’”

ফারিয়া জানান, এই বিষয়গুলো অনেকের কাছে সাধারণ মনে হলেও তার জীবনের অভিজ্ঞতায় এটি অনেক বড় বিষয়। তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি সম্পূর্ণ হোপলেস ছিলাম, ভেবেছিলাম জীবনের এই অংশটি এখানেই শেষ, ঠিক তখনই একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছে।’

অন্যদিকে, ফারিয়ার স্বামী তানজিম জানান, তিনি বাংলাদেশের বিনোদন জগতের সঙ্গে তেমন পরিচিত নন। তিনি ফারিয়াকে চিনতেন না, তবে পরে জানতে পারেন তিনি বেশ জনপ্রিয়। তানজিমের মতে, ফারিয়া মানুষ হিসেবে অসাধারণ এবং অমায়িক। তিনি বলেন, ‘তাকে যখন দেখি, তার মাঝে বিশেষ কিছু খুঁজে পাই। সে মানুষ হিসেবে অসাধারণ, ডাউন টু আর্থ, বোল্ড, উইটি, প্লেফুল এবং সর্বোপরি খুবই যত্নশীল।’এই দম্পতির ভিডিও দেখে তাদের ভক্তরা উচ্ছ্বসিত। মন্তব্যের ঘরে তারা ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, প্রথম সংসারের ইতি টানার প্রায় পাঁচ বছর পর আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন শবনম ফারিয়া। প্রথম বিয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিয়ে নিয়ে তার অনুভূতি বরাবরই জটিল-আতঙ্কের চেয়ে কম নয়।ফারিয়ার স্বামী তানজিম তৈয়ব রাজশাহীর বাসিন্দা। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে ফিন্যান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *