বান্দরবান প্রতিনিধি
দুর্গোৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা চারদিনের সরকারি ছুটিতে বান্দরবানের সব হোটেল-মোটেল ও কটেজ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বছরজুড়ে কম বেশি পর্যটকের পদচারণায় মুখর পাহাড় কন্যাখ্যাত পর্যটন নগরী বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। সরকারি বিশেষ ছুটির দিনে এ পদচারণা বাড়ে বহুগুণ। আগামী ১ অক্টোবর (বুধবার) মহানবমী উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে ছুটি, ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমির সরকারি ছুটি ও ৩-৪ অক্টোবর শুক্রবার- শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চারদিন ছুটিতে থাকবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি চাকরিজীবীরা। লামা মিরিঞ্জা ভেলির মালিক মো. জিয়া বলেম, তাদের মিরিঞ্জা এলাকায় ৪৫ থেকে ৫০টি কটেজ আছে। তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এসব হোটেল প্রায় সম্পূর্ণ বুকড করেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। থানচি হোটেল ডিসকভারের ম্যানেজার আলফাত্তা হক সিস্তি বলেন, বর্তমানে তাদের এলায় ১৫টি হোটেল রিসার্ট রয়েছে। কয়েক বছর পর এ মৌসুমে কাক্সিক্ষত পর্যটকের সাড়া পেয়েছেন। আগামী ১-৩ অক্টোবর পর্যন্ত এসব হোটেলের কক্ষ আগাম বুকিং করেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। বান্দরবান সদরের হোটেল হিল্টনের ম্যানেজার আক্কাস উদ্দীন জানান, ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর ৪০-৫০ শতাংশ আগাম বুকিং থাকলেও ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত হোটেলের সব কক্ষ আগাম বুকড করেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালির ম্যানেজার মো. সুমন জানান, ১-৪ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের হোটেলের সব কক্ষ শতভাগ আগাম বুকড হয়ে গেছে। হোটেল হিলভিউ ম্যনেজার মো. পারভেজ জানান, ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর আংশিক আগাম বুকিং থাকলেও ১-৩ অক্টোবর পর্যন্ত হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত জেলা সদরের অধিকাংশ হোটেলের কক্ষ বরাদ্দ হয়ে গেছে। আগত পর্যটকদের সেবা নিশ্চিতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। বান্দরবান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবদুল করিম জানান, পূজাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে। পেট্রোল বৃদ্ধি করা হবে এবং আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করবে।
