শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। আজও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়ক সহ অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। আসন্ন ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে শরীয়তপুরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছবে।
বন্যায় শরীয়তপুর সদরসহ নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় সবকয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ। নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ডুবে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বহু বাড়িতে রান্নাঘর ও চুলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। অনেকে খোলা আকাশের নীচে উঁচু মাচাঁন পেতে রান্না করছেন। এখানে শুকনো খাবার, গবাদি পশুর খাদ্য ও বাসস্থানের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম নড়িয়া ও সখিপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ইতোমধ্যে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে চাল, ডাল, লবন, তৈলসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।