আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে চলতি শীত মৌসুমে তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। গতকাল শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভোর থেকে যেসব শ্রমজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হয় তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে ভাটা পড়ছে। অনেকে কাজ পাচ্ছেন না। অলস বসে সময় পার করছেন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। মাঠে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরাও ঠিকমতো কৃষি কাজ করতে পারছেন না। তীব্র শীতে কৃষি কাজও ব্যাহত হচ্ছে। শহরের নতুন বাজার এলাকায় কাজের সন্ধানে অপেক্ষায় থাকা এক মাটিকাটা শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন শীত একটু কম ছিল। কাজকর্ম করতে পারছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই শীত বেশি পড়ছে। অনেকেই কাজ পাচ্ছে না, আবার যারা পাচ্ছে তারাও কাজ শেষ করতে পারছে না। পাখিভ্যান চালক শফিউর রহমান জানান, রাস্তাঘাটে লোকজন কমেছে। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। শীত উপেক্ষা করেও কাজে বের হলে ভাড়া ঠিক মতো হচ্ছে না। আয় রোজগার অনেক কমে গেছে। চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, পশ্চিমে ঝড় সরে যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে যাওয়াসহ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর ১৪ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে, দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ বইতে থাকায় শীতজনিত রোগবালাই বেড়েই চলেছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের ভিড় লেগেই আছে। সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, বর্তমানে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বেশি চিকিৎসা নিতে আসছে।