সরকারি অনুমোদন না থাকলেও করোনা পরীক্ষা ও নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের সাহাবুউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালিকের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার নাম ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪)। তিনি হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
২০ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বিকালে রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
এই মামলায় আরও দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন- হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির।
এর আগে, রবিবার দুপুরে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে অভিযান শেষে তারা জানায়, হাসপাতালটি করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিকে করোনা পজিটিভ বলে ভর্তি রেখেছিল এবং মোটা অঙ্কের টাকা বিল করছিল। এছাড়া তাদের হাসপাতালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকার অনুমোদনহীন বেশকিছু টেস্টিং কিট পাওয়া গেছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তারা এন্টিবডি করোনা টেস্ট করছিল। কিন্তু তাদের আরটি পিসিআর মেশিন ছিল না। প্রতিটি করোনা টেস্টের জন্য তিন হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছিলো। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারে দশ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী পাওয়া যায়।
এসব অভিযোগে হাসপাতালটির দুজন কর্মকর্তাকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ফার্মেসিতে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং হাসপাতালটি সিলগালা করার রায় দেয়া হয়। কিন্তু রোগী সরানো না যাওয়ায় এখনো তা কার্যকর হয়নি।