ePaper

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে খোকসা গাছে চা

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

চা গাছ থেকেই চা পাতা উৎপ্নন হয়। অন্য কোনো গাছে চা ধরা সম্ভব নয়। কিন্তু সিরাজগঞ্জে একটি খোকসার গাছে চা ধরেছে। ফলের মত করে ঝুলে রয়েছে চা (টি-ব্যাগ)। বাঁদরের মত ঝুলে থাকায় অনেকেই মজা করে এটিকে দচা’ গাছও বলে থাকেন। তবে ঝুলে থাকা চা গাছ থেকে উৎপন্ন নয় বরং অসচেতনতা আর অবহেলার ফসল। কাজিপুর উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে শফিকুল ইসলামের দোকানে গেলে দেখা মিলেছে এই গাছটি। স্থানীয় চা-প্রেমিরা মনে করেন, খোকসার গাছে এসব টি-ব্যাগ ঝুলে থাকার মূল কারণ এখানে চা-পানকারীদের অবহেলা। চা-প্রেমিরা চা বানানোর পর ছুড়ে ফেলে এসব টি-ব্যাগ। আবজর্না ফেলার জন্য ঝুড়ি থাকা সত্বেও তারা এসব আবজর্না ছুড়ে ফেলে। একারনে ছুড়ে ফেলা আবর্জনা আটকে রয়েছে গাছের উপর। এভাবেই ধীরে ধীরে টি-ব্যাগসহ নানা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গাছটি। গাছটিতে বর্তমানে ফুল-ফলের দেখা মিলছে না। গাছটিতে ঝুলে থাকা টি-ব্যাগের সাথে থাকা গরম পানি। এই গরম পানি গাছের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অযত্ন আর অবহেলার কারণে গাছটি ধিরে ধিরে প্রায় মৃত অবস্থায় যাবে। পাশাপাশি যত্রতত্র টি-ব্যাগ ফেলায় পরিবেশেরও ক্ষতিসাধন হচ্ছে। চা-প্রেমি শিক্ষার্থী সামিউল হাসান বলেন, প্রথমে আমিও গাছটি দেখে অবাক হয়েছিলাম। দূর থেকে দেখে বুঝতে পারিনি গাছটিতে বাঁদরের মত কী ঝুলছে। কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম ওগুলো টি-ব্যাগ। খোকসার গাছে চায়ের ব্যাগ দেখে মজাই পেয়েছিলাম। তবে গাছটির জন্য মায়া লাগে। চা-প্রেমিদের সতর্ক হওয়া উচিত। চা দোকানদার শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় আড়াই বছর ধরে এই বাজারে চা-দোকান দিয়েছি। টি-ব্যাগগুলো রাখার জন্য দোকানে ঝুড়ি রাখা সত্ত্বেও যারা চা খাওয়ার জন্য আসে তারাই মুলত চা-এর টিব্যাগগুলো ছুড়ে ফেলেন। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুস সামাদ বলেন, এই গাছে সাধারণন্ত টুন-টুনু পাখি বাসা বাঁধে। এই গাছের ফল মুলত পাখিদের খাদ্য। পাখির বৃষ্টায় এই গাছের বংস বিস্তার করে থাকে। এই গাছের পাতা সিরিজ কাগজের মতো। সাধারন্ত গ্রামঞ্চলের মহিলারা এই গাছের পাতা দিয়ে পাঙ্গাস, সিং ও কই মাছ পরিস্কার করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে গাছের উপর উচ্ছিষ্ট অংশ নিক্ষেপের বিষয়গুলো সকলের নজরে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *