সবুজ দাস, ফরিদপুর
ফরিদপুরের সদর উপজেলার ডিক্রীরচর ইউনিয়নস্থ সিএন্ডবি ঘাট বন্দর এলাকায় স্বনামধন্য মেসার্স লাকী ট্রান্সপোর্ট-এ কর্মরত মো. সাইদ শেখ (৪১) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতী করে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সরে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার ন্যায় বিচার দাবিতে প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালত, ফরিদপুরে একটি মামলা দায়ের করেছেন, যার নং- কোতয়ালী থানা সিআর ৯৯৫/২৫। কোম্পানীর পক্ষে সুস্মিথ বিশ্বাস মন্টি (৩০) এর দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন অভিযুক্ত মো. সাইদ শেখ (৪১), মো. হুমায়ুন কবির (৫২), মো. সাইদুর রহমান, নুরু মিয়া লাকী ট্রান্সপোর্টে, ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক ও ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। সম্প্রতি কোম্পানীর আভ্যন্তরীন অডিট শুরু হলে পরিলক্ষিত হয় ০১/০১/২০২৩ থেকে ২৯/০৫/২০২৫ এর মধ্যে কোম্পানীর হিসাব থেকে ৮৭ লক্ষ ২৭ হাজার ৪১৩ টাকা কোনরূপ মিল পাওয়া যায় না। প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা যায়, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অভিযুক্ত মো. সাইদ শেখ-কে আইনগত প্রক্রিয়ায় বারবার উকিল নোটিশ ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব বুঝিয়ে দেবার অনুরোধ জানালেও তা তিনি তোয়াক্কা করেননি। এর আগে গত ১২ জুলাই আলাউদ্দিন গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম. নুরুল ইসলাম কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করেন। তাতেও কোন কাজে না আসলে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে উল্লেখিত সাইদের সাথে কোন রকম ব্যবসায়িক লেনদেন না করার বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগের বিষয়ে বন্দর এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে সিএন্ডবি ঘাট এলাকার অনেক শ্রমিক বলেন, সাইদ লাকী ট্রান্সপোর্টের চাকুরী করতো। এখন দেখি নিজেই ট্রান্সপোর্ট খুইলা বইছে। বিশাল বাড়ী করছে। কইততা এত টাকা পাইলো। নৌবন্দর এলাকায় নোঙর করা মালবাহী একটি জাহাজের শ্রমিক জানান ছোয়া এন্টারপ্রাইজ এর সাইদ ৩ কার্গো থেকে চাউল আনছে যশোর ভোমরা থেকে চাঁদপুর পাঠানোর জন্য। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে সাইদের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি লাকী ট্রান্সপোর্টে চাকুরী করতাম প্রতিদিনের ক্যাশ বুঝিয়ে দিতাম। পারিবারিক সমস্যার কারনে আমি চাকুরী ছেড়ে দেই। কোম্পানীর কোন অর্থ আত্মসাৎ করিনি আমি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
