ePaper

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৭ দালাল আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি

চিকিৎসা নিতে এসে বিভিন্ন সময় দালালদের খপ্পরে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগীদের। দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ অবস্থা বিরাজ করছে। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে প্রবেশ করলেই দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। কখনও চিকিৎসকের নাম করে, আবার কখনও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা রোগীদের বিভ্রান্ত করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রোববার সকালে বিশেষ অভিযান চালায় র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর একটি দল। কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে হাসপাতাল চত্বর থেকে ৭ দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত দালালরা হলেন- মিলন (৩৫), রতন (৩৮), হারুন (৩৫), সজিব (২৫), স্বপন (৪৪), মাসুদ (৪৫) ও আকরাম হোসেন (২৫)। তাদের মধ্যে কেউ ৭ দিনের, আবার কেউ সর্বোচ্চ ১ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই অভিযান রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে। তবে নিয়মিত নজরদারি না থাকলে আবারও দালালরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) মেহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যে রোগীরা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে ছিলেন। আজকের অভিযানে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ মেলায় তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টকে বলা হয়েছে যেন আউটসোর্সিংয়ের নামে যেন কোনো দালাল ঢুকতে না পারে। তিনি যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু  বলেন, দালালরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বার্থে এবং হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থা সঠিক রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *