ePaper

পিসিবির এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকি নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সাবেক সভাপতির

স্পোর্টস ডেস্ক

ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে। এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটির ম্যাচের আগে-পরে সৌজন্যতা না দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে। হাত না মেলাতে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটেরও ভূমিকা ছিল দাবি করে কম তুলকালাম হয়নি। যার রেশ এখনও রয়েছে। এরই মাঝে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। আজ (রোববার) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় এই হাইভোল্টেজ লড়াই শুরু হবে। কিন্তু ম্যাচের আগে ঘুরে-ফিরে আসছে আগের দেখায় বিতর্ক তৈরি করা ‘নো-হ্যান্ডশেক’ ইস্যু। ম্যাচের আগে পাকিস্তান পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করায় তাতে আরও হাওয়া লেগেছে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে টুর্নামেন্ট বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মহসিন নাকভি। সে কারণে সমালোচনা করেছেন সাবেক সভাপতি নাজাম শেঠি। এশিয়া কাপ বয়কট করলে পাকিস্তান অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হতো দাবি করে সাবেক এই পিসিবি প্রধান ‘সামা টিভি’কে বলেন, ‘তারা সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল। তাদের মনোভাব ছিল এমন– “জনগণের চাপের মুখে চলো বয়কট করে ফেলি। এশিয়া কাপ জাহান্নামে যাক, আইসিসি জাহান্নামে যাক।” কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনাকে সবসময় বৈধ সীমানার মধ্যে থেকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।’ এমন যুক্তি থেকেই পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভিকে সমর্থন দেননি বলে জানান নাজাম শেঠি, ‘যখন এ নিয়ে এক বন্ধুকে কল দিই, সে আমাকে বলেছিল “সেখানে যেও না, সমর্থন দিও না তাকে।” আমিও মহসিন নাকভিকে সমর্থন দিইনি। আমি গিয়েছিলাম পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বাঁচাতে।’

পিসিবির বর্তমান সভাপতি মহসিন নাকভির সঙ্গে সাবেক দুই প্রধান নাজাম শেঠি ও রমিজ রাজা তিনি আরও বলেন, ‘যদি তার (নাকভির বয়কট) প্রচেষ্টা সফল হয়ে যেত, পাকিস্তান অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়ত। আমরা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে (এসিসি) নিষিদ্ধ হতাম। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) শাস্তি দিতো। বিদেশি ক্রিকেটাররা পিএসএল বয়কট করার সম্ভাবনা ছিল এবং আমরা এসিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সম্প্রচার সত্ত্ব হারানোর দ্বারপ্রান্তে চলে যাই। সবমিলিয়ে পিসিবির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তো।’এর আগে টুর্নামেন্ট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি সভাপতি নাকভি বলেছিলেন, ‘আমি (নাজাম) শেঠি এবং রমিজ রাজা সাহেবকে সমর্থনের অনুরোধ করেছি। যদি আমরা বয়কটের পথে হাঁটি, সেটি হবে অনেক বড় সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তাসহ অসংখ্য মানুষকে তাতে যুক্ত করতে হতো। আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি ও রমিজ রাজাও।

পিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে আরব আমিরাত ম্যাচের দায়িত্ব থেকে পাইক্রফটকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। নইলে তারা এশিয়া কাপ বয়কট করবে। পরে উভয়পক্ষ আলোচনায় বসে এবং ম্যাচ শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। পরে পিসিবি দাবি করে– ‘সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির কারণে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট।’ যার প্রমাণ হিসেবে অধিনায়ক সালমান আলি আগা, পিসিবি সভাপতি ও কোচদের সঙ্গে রেফারির একটি কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যদিও সেটির আওয়াজ বন্ধ ছিল! পরবর্তীতে তাদের ভিডিও প্রকাশ কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন বলে ব্যাখ্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *