ePaper

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ডিনার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একসঙ্গে ডিনার করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্ক সিটিতে একসাথে রাতের খাবার খান তারা। এ সময় ট্রাম্প ও থানির সঙ্গে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ।বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েল কাতারে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের লক্ষ্য করে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে যান কাতারের প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি এ হামলা নিয়ে আলোচনা করবেন। কাতারের ডেপুটি চিফ অব মিশন হামাহ আল-মুফতাহ মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছন, “মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অসাধারণ ডিনার।”

হোয়াইট হাউজ নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্প ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে ডিনার করেছেন। তবে তারা এর বেশি কিছু জানাননি।গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানী দোহায় বিমানহামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে অন্তত ১২টি মিসাইল ছোড়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা হলেও তারা বেঁচে যান। তবে এ হামলায় ছয়জন প্রাণ হারান। যারমধ্যে কাতারের সেনাবাহিনীর এক সদস্যও আছেন। বাকি পাঁচজন ফিলিস্তিনি নাগরিক। কাতারের প্রধানমন্ত্রী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ইসরায়েল দোহায় হামলা চালানোর পর থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।হামাসের নেতারা গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। তখনই এ হামলার ঘটনা ঘটে।কাতারকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অন্যতম বড় মিত্র দেশ হিসেবে মনে করে। কাতারে আল উদেইদ নামে মার্কিনিদের একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। যা মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি। তা সত্ত্বেও ইসরায়েল দেশটিতে হামলা চালিয়েছে। এমনকি কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো ইসরায়েলের মিসাইল আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি দোহাকে আশ্বস্ত করেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো হামলা আর হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *