ePaper

স্যালভো কেমিক্যালের শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব ফের বাতিল করল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ারধারণের শর্ত পূরণের লক্ষ্যে নতুন শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব দুই দফায় বাতিল করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে প্রথমে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে দুই দফায়ই তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটির নিরীক্ষক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।বিএসইসির ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ইস্যু করা আদেশ অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সেকেন্ডারি মার্কেটের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় করে অথবা নতুন শেয়ার ইস্যু করে এই শর্ত পরিপালন করা যাবে। আদেশে কমিশন জানায়, এক বছরের মধ্যে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা জমা দিয়ে এবং সিকিউরিটিজ আইন ও কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর প্রাসঙ্গিক বিধানগুলি মেনে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করতে হবে।নিরীক্ষক জানিয়েছে, বিএসইসির ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পরিপালনের লক্ষ্যে গত বছরের ৩১ জুলাই প্রথম দফায় স্যালভো কেমিক্যালের উদ্যোক্তা পরিচালকদের নামে শুধু অভিহিম মূল্য ১০ টাকা দরে ৬৪ লাখ শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই সময়ে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন না নিয়ে প্রস্তাব জমা দেয়ায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর এই প্রস্তাব কমিশন সভায় বাতিল করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে কোম্পানির গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে কিছুটা সংশোধনী এনে কমিশনে পুনরায় আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনও নেয়া হয়।এ দফায় কোম্পানিটি সিদ্ধান্ত নেয়, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিপরীতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ৬ টাকা প্রিমিয়াম যোগ করে মোট ১৬ টাকা দরে ৬৪ লাখ শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাড়ানো হবে। এতে উদ্যোক্তা-পরিচালকের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ হবে। এই দফায়ও শেয়ারহোল্ডারদের বৃহত্তর স্বার্থে কোম্পানিটির শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব বাতিল করে দেয় বিএসইসি।বর্তমানে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে। যা বিএসইসির আদেশ জারির সময় থেকে একই রয়েছে। এখন কোম্পানিটির কাছে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে বাজার থেকে শেয়ারহোল্ডারদের থেকে শেয়ার কেনার পথ খোলা হয়েছে।এদিকে নিরীক্ষক আরো জানিয়েছে, কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১৬ এর প্যারা ৩১ অনুযায়ী স্থায়ী সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি। কোম্পানিটিতে স্থায়ী সম্পদের রেজিস্টারও পায়নি নিরীক্ষক। এছাড়া শ্রম আইনও পরিপালন করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এমনকি কোম্পানিটিতে শ্রম আইন অনুযায়ী ফান্ড গঠন ও পরিচালনার জন্য পৃথক ব্যাংক হিসাব ও পৃথক বুকস অব অ্যাকাউন্টসও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *