ePaper

কুমার শানুর সঙ্গে মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কটা ছিল বিষাক্ত: কণিকার ছেলে

বিনোদন ডেস্ক

‘বিগ বস ১৯’–এর ঘরে অন্যতম আলোচিত সদস্যা অভিনেত্রী কণিকা সদানন্দ। তার এন্ট্রি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছিল। কারণ সঞ্চালক সালমান খান নিজেই জানিয়ে দেন, তিনি বহু বছর ধরে কণিকাকে চেনেন। দর্শকেরা নিশ্চয়ই মনে রেখেছেন, দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘প্যায়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া’ এবং ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’–এর মতো ছবিতে। তবে আলোচনায় যেমন তার অভিনয়জীবন, তেমনই বারবার শিরোনামে এসেছে তার ব্যক্তিজীবনের উত্থান–পতন। নব্বইয়ের দশকে কণিকার ব্যক্তিজীবন মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দেয়। জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানু–র সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়। সেই সময়ে শানুর দাম্পত্য ভাঙনের মুখে ছিল, আর কণিকাই হয়ে উঠেছিলেন তার মানসিক ভরসা। তিনি শুধু গায়কের সঙ্গীই ছিলেন না, বরং কুমার শানুর আর্থিক হিসেব–নিকেশ থেকে শুরু করে পারিবারিক দায়িত্ব—সবকিছুর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে কণিকা নিজেই স্বীকার করেছিলেন, ‘আমি তার কাছে স্ত্রী–এর মতোই ছিলাম। কুমার শানুকে আমার স্বামী বলে মনে করতাম।’

পাঁচ বছর ধরে এই সম্পর্ক টিকে থাকলেও পরিণতি হয়নি সুখকর। বিগ বসে আরও একবার কণিকার নামের সঙ্গে উঠে এসেছে কুমার শানুকে ঘিরে আলোচনা। তবে কণিকার এই অতীত প্রেম নিয়ে এবার মুখ খুললেন তার ছেলে আয়ান লাল, যার চোখে সেই সম্পর্ক ছিল ‘অত্যন্ত বিষাক্ত’।সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়ান বলেন, ‘আমি সেই সম্পর্কের অনেক পরে জন্মেছি। শানুকে সামনাসামনি কখনও দেখিনি। কিন্তু মা এখনও তার শিল্পীসত্তাকে শ্রদ্ধা করেন। এটা প্রেম নয়, এটা শিল্পের প্রতি এক গভীর সম্মান।’ তিনি আরও বলেন, ‘মা কখনও আবেগে অন্ধ হন না। এটা অহংকার নয়, এটা তার আত্মসম্মানের প্রতিফলন। আমি যখন গুগলে তার নাম খুঁজি, মা বলেন, তিনি আমার জীবনে এক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। আমি তাকে আত্মার সঙ্গী মনে করতাম। প্রত্যেকের জীবনে একবার এমন ভালোবাসা হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা ছিল বিষাক্ত— খুবই, খুবই বিষাক্ত।’কণিকা জানিয়েছিলেন, এই প্রেম ছিল গোপন, কারণ তিনি শানুর বৈবাহিক অবস্থার প্রতি সম্মান রেখেছিলেন। আয়ান বলেন, ‘সম্পর্কটি যন্ত্রণাদায়ক হলেও, তা আমাদের জীবনে গভীর ছাপ রেখে গেছে। আমরা সেই ছায়া থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছি।’ একটি অনন্য সমান্তরাল অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে আয়ান বলেন, ‘যখন আমার প্রেমিকা ছিল, তখন মায়েরও প্রেমিক ছিলেন। সেই সময়টা আমাদের মধ্যে এক অদ্ভুত বোঝাপড়া তৈরি করেছিল। আমরা একে অপরকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে শিখেছি।’প্রসঙ্গত, কণিকা সদানন্দ শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি একজন সমাজকর্মী এবং প্রশিক্ষিত আইনজীবী। ‘ক্রান্তিবীর’ ও ‘দিলওয়ালে’-র মতো ছবিতে তার অভিনয় নব্বইয়ের দশকে পরিচিত মুখ করে তোলে। কিন্তু তার আসল লড়াই শুরু হয় পর্দার বাইরে— নারী অধিকার, আইনি সচেতনতা এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *