শারিফা আলম, পাবনা প্রতিনিধি : খাদ্য, মসলা ও তেল জাতীয় খাবারের ঘাটতি পুরনে সুসম সার ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করনে শারিরিক দুরত্ব বজায় রেখের পৃথক দুটি কৃষক সমাবেশ গতকাল শুক্রবার বিকেলে পাবনার আটঘড়িয়া উপজেলার বাঐকোলা ও চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদফতরের আয়োজনে ক্যানপোটেক্স লিমিটেড কানাডার অর্থায়নে, ক্যানপোটেক্স লিমিটেড, কানাডা ও ড্রাগন ফার্টিলাইজার বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক অনুষ্ঠানদ্বয় বাস্তবায়ন করা হয়।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট, ঢাকার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. তৈয়বুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন,কৃষি মন্ত্রনালয়ের গবেষনা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, ড্রাগন ফার্টিলাইজার বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রজেক্ট অফিসার মো. আ. হামিদ আটঘড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, রোখসানা কামরুন্নাহার চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ,এ, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. তৈয়বুর রহমান বলেন, মানব দেহের স্বাস্থ্য রক্ষায় যেমন খাদ্যের প্রয়োজন-তেমনি মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সুসম সার ব্যবহার করা দরকার। কৃষকেরা যখন মাটি পরীক্ষা করে সুসম সার ব্যবহার করবেন, তখন ফসলের ফলন বৃদ্ধি হবে। সে কারনে সরকার মাটি পরীক্ষার জন্য কৃষকের দোড়গোড়ায় ল্যাব্রটারী স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে কৃষকের সুবিধার্থে পাবনাতেও ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
বিশিষ অতিথি নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৬১ সালে সবুজ বিপ্লবের সময় কৃষকদেরকে জমিতে সার দেবার পরামর্শ দিলে সেটা তারা প্রত্যাখান করেছে। পরবর্তীতে কৃষি দফতরের প্রষ্টোয় সার প্রয়োগের মাধ্যমে সুফল পেয়ে আজ যদেচ্ছা সার ব্যবহার করছে। গবেষনায় দেখা গেছে অতিরিক্ত সার প্রয়োগে মাটির স্বাস্থের হানি হচ্ছে। ফসলের ফলও হ্রাস পাচ্ছে। তাই মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করতে হরে। সার কমবেশী হলে ফলনের তারতম্য লক্ষ্য করা যাবে।
ড্রাগন ফার্টিলাইজার লিমিটেডের প্রজেক্ট কর্মকর্তা আ. হামিদ বলেন, মসলা জাতীয় ফসল রশুন উৎপাদনে পাবনা জেলা দেশের মধ্য দ্বিতীয়তম। সে কারনে আটঘড়িয়া উপজেলাতে ইটালী জাতের রশুন ও চাটমোহরে বারি-১ জাতের রশুন আবাদের জন্য দুটি প্রদর্শনী প্লট বেছে নেয়া হয়েছিল।
সুসম সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের ফলন বৃদ্ধি করে দেশকে আমদানী মূক্ত করার প্রচেষ্টায় দেশের ২৩টি জেলার ৪৬ টি উপজেলাতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারন ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় খাদ্য, মসলা ও তেল জাতীয় ১২ টি ফসলের উপর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
কাটেঙ্গা গ্রামের রশুন প্রদর্শনী চাষী বলেন সুসম সার ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারন ভাবে আবাতকৃত রশুনের ফলন বিঘা প্রতি প্রায় দশমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অন্যান্য রশুন চাষী থেকে আমি বিঘাপ্রতি প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা বেশী লাভবান হয়েছি।