ePaper

সিরাজগঞ্জে কদর বেড়েছে পাট খড়ির

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে পাট খড়ির কদর বেড়ে চলেছে। আগে এই খড়ি শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে তা বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় জ্বালানি, পার্টিকেল বোর্ড মিলে, হস্তশিল্পজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে। জেলার কৃষকরা পাট বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে খড়ি বিক্রি করেও বেশ লাভবান হচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, রোদে পাট খড়ি ভালোভাবে শুকানোর পর ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকে তা কিনে নিয়ে যায়। সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলায় এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে। চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৪ হেক্টর জমিতে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রামের পাট চাষি আবু ইউসুফ জানান, এক বিঘা জমির পাট থেকে যে পাট খড়ি পেয়েছি সেগুলো শুকিয়ে পরিষ্কার করে বিক্রি করতে পারলে তা থেকে ১০/১২ হাজার টাকা আয় করা যাবে। জারিলা গ্রামের পাট চাষি আহসান আলী জানান, পাট খড়ির চাহিদা ভালো থাকায় বেশ ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, জেলায় উৎপন্ন পাটের গুণমান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা দেশব্যাপী। পাশাপাশি পাট খড়িও দেশের বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড মিলসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে ব্যবহার হয়। তাছাড়া এর ছাই কম্পিউটারের কালি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় বলেন, শস্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশ উপজেলায় এ বছর বৃষ্টির অভাবে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তিনি আরও বলেন, পাটকাঠি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যে কারণে কৃষকরা পাটখড়ি বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *