ePaper

১৪ দিনে ২১ টাকার শেয়ার ৪৫ টাকায়, বারবার সতর্কতায়ও থামছে না দৌড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনটেক লিমিটেডের শেয়ার দর ও লেনদেন সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাত্র ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারদর দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। তবে কোম্পানিটি বলছে, তারা এই অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি ও লেনদেনের কারণ জানে না। এই সময়ের মধ্যে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক বার্তা দেওয়া হলেও কোম্পানিটির শেয়ারের দরবৃদ্ধি থামছে না। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একদিনে শেয়ারটির দর যতটুকু বাড়ার সীমা রয়েছে, তার সর্বোচ্চ বেড়েছে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে গত ১৭ আগস্টের পর ইনটেক লিমিটেডের শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ওইদিন শেয়ারটির দর ছিল ২০ টাকা ৯০ পয়সা।এরপর শেয়ারটির দর বাড়তে থাকে। আলোচিত সময়ের মধ্যে ডিএসইর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে অন্তত তিনবার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও আজ বৃহস্পতিবার শেয়ারটির দর প্রায় ১০ শতাংশ বা ৪ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে ৪৫ টাকা ৩০ পয়সায় উঠেছে, যা একদিনে শেয়ারদর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা।

এদিকে শেয়ারটির লেনদেনও আলোচিত সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে, যা শেয়ার সংখ্যায় ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩১টি। অথচ প্রতিবার ডিএসইর চিঠির জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে তারা এই শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না। কোম্পানির ভাষায় বলা হয়েছে, তাদের কাছে এমন কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) নেই, যাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের দর ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।কোম্পানিটির শেয়ারদর চিত্র অন্যভাবে বিশ্লেষণে দেখা যায়, কেউ যদি গত ১৭ আগস্ট কোম্পানির ১ লাখ শেয়ার কিনে থাকে, তাহলে তাকে ২০ টাকা ৯০ পয়সা হারে ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। আজ সেই বিনিয়োগকারী ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা হারে সবগুলো শেয়ার বিক্রি করলে ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুনাফাসহ মোট ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা তুলে নিতে পেরেছে। অর্থাৎ ২১ লাখ টাকারও কম বিনিয়োগ করে মাত্র ১৪ দিনে এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীর মুনাফার অংশ ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শতকরা হিসেবে এই ১৪ দিনে মুনাফার হার দাঁড়ায় প্রায় ১১৭ শতাংশ।অথচ এই কোম্পানিটি দীর্ঘ বছর ধরে আর্থিকভাবে দুরবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসেও (জুলাই-মার্চ) লোকসান গুনতে হয়েছে। আর কোম্পানি রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ মোট পরিশোধিত মূলধনের চেয়েও বেশি। বেশ কয়েক বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশও দিতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *