নুরুল আলম সিকদার, কক্সবাজার
কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঁকখালী নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করে। অভিযানের অংশ হিসেবে স্ক্যাভেটর দিয়ে নদীপাড়ের একের পর এক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে নদী দখল করে গড়ে তোলা দোকানপাট, বসতঘর ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। তবে অভিযানে কেবল অবৈধ স্থাপনাই নয়, বৈধ মালিকানাধীন জায়গার উপর নির্মিত স্থাপনাও ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। উচ্ছেদকৃত অনেক পরিবার ও ব্যবসায়ী দাবি করছেন—প্রশাসনের তালিকায় থাকা বৈধ স্থাপনাও কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ভাঙচুর করা হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত মানুষ মানবেতর অবস্থায় পড়েছেন। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদী দখল করে গড়ে তোলা সব স্থাপনাই উচ্ছেদের আওতায় আনা হবে। তবে বৈধ স্থাপনা ভাঙার অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয়রা বলছেন, বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত হওয়া জরুরি হলেও বৈধ মালিকদের জায়গা রক্ষার বিষয়টি যথাযথভাবে দেখা উচিত। নইলে উচ্ছেদ অভিযানের নামে সাধারণ মানুষের জীবিকা ও মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অভিযান আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
