ePaper

ফুটবলার দলবদলে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে ইংলিশ ক্লাবগুলো!

স্পোর্টস ডেস্ক    

১ সেপ্টেম্বর শেষ হলো ইউরোপিয়ান ফুটবলের দলবদল। গত মৌসুমের শেষ থেকে শুরু করে নতুন মৌসুম পর্যন্ত নিজেদের দল সাজাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো এবার ব্যাপকভাবে ফুটবলার কেনা-বেচা করেছে। যা রীতিমত বিস্ময়কর এবং অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।ইউরোপিয়ান ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার পর ইএসপিএন একটা প্রাথমিক হিসাব প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ফুটবলার ট্রান্সফারে এ মৌসুমে ব্যায় করেছে ৩ বিলিয়নেরও বেশি ব্রিটিশ পাউন্ড (টাকার অংকে প্রায় ৫০ হাজার কোটির বেশি)।

ডেলয়েট নামের আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী, এটাই প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যয়, যা দুই বছর আগে করা ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।দলবদলের শেষ দিনে সবচেয়ে বড় চমক ছিল লিভারপুলের রেকর্ড সাইনিং- নিউক্যাসল ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাককে তারা কিনেছে ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে (১৬৯ মিলিয়ন ডলার)। নিউক্যাসল যদিও দাবি করেছিল, ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড।

একা লিভারপুলই এবারের উইন্ডোতে খরচ করেছে ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের (৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা) বেশি, যা কোনো একক প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের সর্বোচ্চ ব্যয়। আর্সেনাল, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং নিউক্যাসল- প্রতিটি ক্লাবই ভেঙেছে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ের সীমা।

ডেলয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের পরিচালক টিম লান বলেন, দএটা আবারও প্রমাণ করে দিল, প্রিমিয়ার লিগ কতটা প্রতিযোগিতামূলক। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেওয়ার লড়াই এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন। সেই প্রতিযোগিতারই প্রতিফলন আমরা দেখছি ক্লাবগুলোর এই বিপুল ট্রান্সফার খরচে।‘

নতুন টেলিভিশন সম্প্রচার চুক্তি, বাড়তি ম্যাচ সম্প্রচার এবং রেকর্ড সংখ্যক ইংলিশ ক্লাবের চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণের কারণে ক্লাবগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি অর্থের জোগান পেয়েছে।

লান আরও বলেন, দপ্রিমিয়ার লিগের সাফল্য, বিপুল দর্শকপ্রিয়তা আর রাজস্বের পরিমাণই এই ব্যয়ের পেছনের মূল কারণ। নতুন চার বছরের সম্প্রচার চুক্তি, বেশি ম্যাচের টিভি কাভারেজ এবং ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে আসা আয়ের ফলে ক্লাবগুলো এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী আর্থিক অবস্থায় রয়েছে।‘

প্রিমিয়ার লিগে টানা ১০ম বার ফুটবলার ট্রান্সফার খরচ বিলিয়নের ঘরে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *