ePaper

৪৩ বছর পর জয়ের স্বাদ পেল বিশ্বের তৃতীয় পুরোনো পেশাদার ক্লাব

স্পোর্টস ডেস্ক

ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৮১-৮২ মৌসুমের পর জয়ের দেখা পায়নি একটি ক্লাব। আপনার মনে হতেই পারে, এমন একটি ক্লাবের বিষয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে কেন? মাঠের পারফরম্যান্স খুব বেশি ভালো না হলেও আলোচ্য ক্লাবটি ইতিহাস আর ঐতিহ্যে দারুণ সমৃদ্ধ। রেকস্যাম এফসি নামের ক্লাবটি যে ওয়েলসের সবচেয়ে পুরোনো ও বিশ্বের তৃতীয় পুরোনো পেশাদার অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল ক্লাব!

ঐতিহ্যের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বছরের পর বছর ধরে অতীতের কঙ্কাল হয়ে পড়ে ছিল রেকস্যাম। তবে গত তিন মৌসুম ধরে অবিশ্বাস্য পুনজার্গরন দেখিয়েছে ক্লাবটি। আর সেই পথ ধরে এবার ভুলে যাওয়া একটি স্বাদও পেয়েছে রেকস্যাম। ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৩ বছর পর জয়ের দেখা পেয়েছে তারা! চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মিলওয়াল এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে এই স্বাদ পেয়েছে রেকস্যাম।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরের ধাপ ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে রেকস্যামের সবশেষ জয়টি ছিল ১৯৮১-৮২ মৌসুমের শেষ দিনে, রদ্যারহ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এরপর আর জয় পায়নি তারা। ওয়েলসের সবচেয়ে পুরোনো ক্লাব রেকস্যাম। ১৮৬৪ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি বিশ্বের তৃতীয় পুরোনো পেশাদার অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল ক্লাবও।

রেকর্ড ২৩ বার ওয়েলস কাপ জিতেছে রেকস্যাম। তবে সবশেষটি সেই ১৯৯৫ সালে। এরপরই পারফরম্যান্সের পতন শুরু। পেছনে হাঁটার পথে তারা ক্রমে নেমে গিয়েছিল তলানিতে। মাত্র তিন মৌসুম আগেও ক্লাবটি ছিল পঞ্চম স্তরে। তবে মালিকানা বদলে রায়ান রেনল্ডস ও রব ম্যাকএলহেনি যৌথভাবে ক্লাব কিনে নেওয়ার পর আবার সুদিনে পথে ফেরে ঐতিহ্যবাহী এই দল।

অভাবনীয়ভাবে পঞ্চম থেকে চতুর্থ, চতুর্থ থেকে তৃতীয় ও তৃতীয় থেকে দ্বিতীয়, টানা তিন মৌসুমে প্রমোশন পেয়ে দ্বিতীয় স্তরে উঠে এসেছে রেকস্যাম। ইংলিশ ফুটবল লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা তিন মৌসুমে উত্তরণের নজির গড়ে তারা। ফুটবল আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিতীয় স্তরে উঠে আসার পর ক্লাবের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি পাউন্ডের আশেপাশে। গত চার বছরে বেড়েছে ৭ হাজার ৪০০ শতাংশ!

সেই ধারাবাহিকতায় এসেছে দারুণ এই জয়। ১৯৮১-৮২ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় স্তরে খেলছে রেকস্যাম। দ্বিতীয় স্তরের কঠিন চ্যালেঞ্জে ওয়েলসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ক্লাবটির শুরুটা অবশ্য খুব ভালো হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচে এক ড্রয়ের পাশে ছিল দুই হার। চতুর্থ ম্যাচে ধরা দিল জয়।মিলওয়ালের মাঠে ৫৮তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর যোগ করা সময়ের অষ্টাদশ মিনিটে আরেকটি গোল করে রেকস্যাম। দলের গোলকিপার ড্যানি ওয়ার্ডের চোটের কারণে অনেকটা দেরি হওয়ায় যোগ করা সময় এতটা বেড়ে যায়। হারিয়ে ফেলা অতীত পুনরুদ্ধারে নতুন স্বপ্ন এখন দেখতেই পারেন রেকস্যামের সমর্থকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *