রুহুল আমিন : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা চরমাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা মুঞ্জুরুল ইসলাম (২৮)কে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ একই এলাকার বাসিন্দা সন্ত্রাসী রেনুমন্ডল, রবিউল ইসলাম,খায়রুল ইসলাম বকুলসহ অন্তত ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ঘটনার সূত্রে জানা গেছে গত ১৩ মে রাত ১০ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরমাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা মুঞ্জুরুলদের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা রেনুমন্ডল গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।এই বিরোধের জের ধরে ঐ দিন ১৩ মে রাত ১০ টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মুঞ্জুরুল ইসলাম মাহমুদপুর বাজার থেকে নিজ বাড়ীতে মোটর সাইকেলযোগে ফেরার পথে চরমাহমুদপুর বাঁশের ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে পৌঁছামাত্রই সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে বসে থাকা প্রতিপক্ষ রেনুমন্ডলের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মুঞ্জুরুল ইসলামের শরীরে এলোপাথারীভাবে কোপাতে ও আঘাত করতে থাকে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়ে ছুটাছুটিসহ ডাক চিৎকার করলে এলাকাবাসী ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে চলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তাররা তার অবস্থার অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে মুঞ্জুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে এবং তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এ দিকে এই ঘটনায় মেলান্দহ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঐ দিন রাতেই মেলান্দহ মাহমুদপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান। গ্রেফতার কৃত আসামীরা হলেন -রবিউল ইসলাম,খায়রুল ইসলাম বকুল।বাকীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।