ePaper

এক আঁটি লাল শাক ৩০ টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক            

শুক্রবার সকাল, ছুটির দিন বলে একটু বাড়তি সময় পেয়েছেন কলেজ শিক্ষক মাকসুদা খাতুন। ভেবেছেন শাক-সবজি কিনবেন। সকালবেলা বাজারে ছুটে গেছেন মিরপুরের এই বাসিন্দা। বাজার ঘুরে দেখেন এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আঁটিও ছোট হয়ে গেছে।মাকসুদা খাতুন বলেন, আগে এক আঁটি লাল শাকে সহজেই একবেলার ভাজি হয়ে যেত। এখন আঁটিতে শাক কম, আগাছা বেশি। ফলে দুই থেকে তিনজনের জন্য অন্তত দুই আঁটি কিনতে হচ্ছে, দামও বেশি। কিন্তু কী আর করা কিনতে তো হবেই।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি আঁটি পুঁইশাক ৫০-৬০ টাকা, ডাটাশাক ২০-৩০, কলমি শাক ২০ টাকা পর্যন্ত, লাল শাক ২৫-৩০, লাউশাক ৪০-৬০, পাটশাক ২০-২৫ এবং কচুশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও সবজির সঙ্গে শাকের দামও চড়া। সাধারণত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের পাতে নিয়মিত ওঠা শাক এখন ২০ টাকার নিচে মিলছে না। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বৃষ্টির কারণে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় শাকের উৎপাদন কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, কার্যকর বাজার নজরদারির অভাবেই শাকের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

হাতিরপুল বিফ মার্কেট সংলগ্ন কাঁচাবাজারে লাউশাক ও পুঁইশাক বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ী সজীব আহমেদ। তিনি বলেন, বর্ষার এই সময়ে শাকের দাম সাধারণত একটু বেশি থাকে। সকালে দাম বেশি থাকে কারণ তখনই বিক্রি ভালো হয়। দুপুরের পর দাম পড়ে যায়, তখন শাক বিক্রি না হলে অনেক সময় ফেলে দিতে হয়।

অন্যদিকে, রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ হোসেনের দাবি, শাকের দাম অতিরিক্ত বাড়েনি। তার ভাষায়, পুঁইশাক অনেক দিন ধরেই ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাকও আগের দামের কাছাকাছি। শীতকালে পালং, মুলা ও সরিষার শাক বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমে যায়।

কাজীপাড়ার ফুটপাতসংলগ্ন অস্থায়ী বাজারের ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন বলেন, এক আঁটিতে কতটুকু শাক থাকবে, এর কোনো নিয়ম নেই। যার যেমন খুশি বিক্রি করছে। দুই-তিনটা ডাটা বেঁধে দেওয়া পুঁইশাকও ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অথচ তা দিয়ে একবেলা রান্নাই হয় না।

বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়তির দিকে, ফলে এখনই সরকারের নজরদারি জরুরি বলছেন ক্রেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *