ePaper

একটি ব্রিজের জন্য ৩০ হাজার লোকের ভোগান্তিতে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

রিজিয়া সরকার, গঙ্গাচড়া

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা সদর থেকে আলমবিদিতর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ঘাঘট নদী। এতে কোন ব্রিজ না থাকায় নিত্যভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কয়েক ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ডাঙ্গী পাইকান, প্রামাণিক পাড়া ও ফুলবাড়ি চওড়াসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঘাঘট নদীর কুটির ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। একটি সেতুর অভাবে নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষাকালে নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো তৈরি করলেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিক চাপের কারণে সাঁকোটি দু থেকে তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয় না। ফলে বছরজুড়েই থাকে এ দুর্ভোগ। ব্রিজ না থাকায় উপজেলা শহর থেকে ইউনিয়নে যাতায়াতে স্থানীয়দের অতিরিক্ত ২০ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাদের চলার কোনো পথ নেই। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। ফলে লেখাপড়ায় পিছিয়ে আছে এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এ এলাকার সঙ্গে অনেকে আত্মীয়তাও করছে না। সম্প্রতি ঠিক হয়ে যাওয়া একটি বিয়ে ভেঙে গেছে শুধু ব্রিজ না থাকার কারণে। এদিকে, দ্রুত ব্রিজ নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা। তিনি বলেন, ‘অসংখ্য মানুষের ভোগান্তি লাঘবে একটি ব্রিজ নির্মাণে সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ব্রিজ নির্মাণে যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, তার সবটাই নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *