নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। চাল আমদানি করতে যারা আবেদন করেছিল, সেগুলো একটা কমিটি বাছাই করে অনুমতি দিয়েছে। আরও কেউ যদি চায় তাহলে আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে চাল আসা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি চলমান খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর। এ সময় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখতে তিন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ১৫ আগস্টের পর বাজার থেকে ধান-চাল কেনা বন্ধ করেছি। পাশাপাশি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল ছাড়া শুরু করেছি। এছাড়া চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এতে করে বাজারের চালের ওপর প্রভাব কমবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাল শুধু মানুষই খায় না, গরু-ছাগলও খায়। গরু-ছাগল-হাস-মুরগী পালতে গেলে চাল খাওয়াতে হয়। চালের বহুবিধ ব্যবহার হয়। সুতরাং চালের চাহিদা না থাকলে আমরা আমদানির অনুমতি দিতাম না। আর যারা আমদানি করছেন তারা মুনাফা করতে পারবেন বলেই আমদানি করছেন। তিনি আরও বলেন, গত ১৭ আগস্ট থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালু হয়েছে। এই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে সারাদেশে ৫৫ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে ৬ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে। ৫৫ লাখের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ পরিবার রয়েছে রংপুর বিভাগে। প্রয়োজনে হলে আরও দেয়া যাবে। আমরা আলোচনা করেছি। এই কার্যক্রমের বিতরণ যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক যারা আছেন তাদের সাথে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত কোন বড় ধরনের ঘটনা নাই। ভবিষ্যতে কিভাবে কাজকর্ম করতে হবে সে বিষয়ে আজ আমরা আলোচনা করেছি। আমরা রংপুর ও রাজশাহীকে দেশের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে চিনি। সেই খাদ্য ভান্ডার হিসেবে তার পরিচয় বহাল রেখেছে। চলতি বছর স্মরণকালের সর্বোচ্চ ক্রয় করতে পেরেছি। আমরা শতভাগের ওপরে ক্রয় করতে পেরেছি। খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, যারা লাইসেন্স বিহীনভাবে খাদ্য-শস্য মজুত করে রাখবে বা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ করে কতদিন রাখতে পারবেন, কত টুকু পরিমাণ রাখতে পারবে এটা কিন্তু লাইসেন্সের মধ্যে উল্লেখ করা আছে। যদি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ করে তাহলে তাদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার প্রতি কেজি চালে ২০ থেকে ২৫ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে। গত বারের চেয়ে চলতি বছর ৪ টাকা বেশি দিয়ে ধান ও চাল কিনেছি। কারণ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। সব ধরনের খরচ বাড়ছে। উৎপাদন খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালের দাম বেড়েছে। তবে আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত সহনশীল রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে সহনশীল থাকে সে জন্য কাজ করা হচ্ছে।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা
