এসএ রশিদ, সাভার
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার একজন আলোকিত, শিক্ষিত রাজনীতিবিদ জননেতা রাশেদুল আহসান রাশেদ তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি’র একজন অভিজ্ঞ নেতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া একজন সাহসী ও সংগঠিত রাজনৈতিক সৈনিক। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, সমাজসেবা ও মানবতার সেবায় নিবেদিত এক প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব। সাভার আশুলিয়া (ঢাকা-১৯ আসনে) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে একজন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। জননেতা রাশেদুল আহসান রাশেদের জন্ম ১৯৭৫ ইং সালের ৮ ই মার্চ। তাঁর পিতা আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন নম্র ভদ্র নামাজি পরোপকারী একজন সৎ ব্যবসায়ী ছিলেন। পারিবারিকভাবে শিক্ষাবান্ধব ও নীতিবান পরিবেশে বেড়ে ওঠা এই মানুষটি ঢাকা জেলা সাভার উপজেলার জন্মগ্রহণ করেন। সাভার উপজেলার বনপুকুর এলাকায় বেড়ে উঠেন এবং সাভার ব্যাংক টাউন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত কৃতী। তিনি ধানমন্ডি গভর্মেন্টস স্কুল থেকে এসএসসি ও সাভার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, বিএ, এবং কৃতিত্বের সাথে এমএ পাশ করেন। এই উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতায় তাকে যুগোপযোগী ও ডিগ্রি অর্জন করে নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলে, যা বর্তমান আধুনিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিরল ও অনুসরণযোগ্য। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। জননেতা রাশেদুল আহসান রাশেদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন নিবেদিত কর্মী ও কলেজ জেলা কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদল কেন্দ্রের কমিটি (ঢাকা বিভাগ), সাবেক সাধারন সম্পাদক ঢাকা জেলা ছাত্রদল, সাবেক সভাপতি সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সঙ্গে। ১/১১ এর সময় যখন সাভারে বিএনপি’র রাজনৈতিক অভিভাবক শূন্যতা দেখা দেয় তখন জননেতা রাশেদুল আহসান রাশেদ এর নেতৃত্বে তৎকালীন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম আসম হান্নান শাহ কে আমিনবাজার থেকে অসংখ্য মোটরসাইকেল ও নেতাকর্মী নিয়ে তাকে রিসিভ করে সাভারের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিএনপিকে নতুন করে উজ্জীবিত করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে তিনি ৩৩ টি মামলার আসামি হয়ে অসংখ্যবার কারাবরণ করেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদেশ আদর্শ-’দেশপ্রেম, গণতন্ত্র, স্বনির্ভরতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা’-এই চারটি মূল নীতিকে ধারণ করে কাজ করে গেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন বিশুদ্ধ সমাজসেবক ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। তিনি বহু মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে সরাসরি অর্থায়ন ও সহায়তা করেছেন। ধর্মীয় শিক্ষার ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসনীয় ও স্মরণীয়। কেবল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, তিনি অসংখ্য দরিদ্র অসহায় পরিবারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছেন। এলাকার গরীব মানুষদের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র ও দুর্যোগকালীন সহায়তা-এইসব নানামুখী কার্যক্রমে তার সরব উপস্থিতি তাঁকে জনগণের চোখে একজন ভরসার মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি কখনো আত্মপ্রচার বা কৃতিত্ব দাবি করেন না; বরং নীরবে মানুষের কল্যাণে কাজ করাই তাঁর লক্ষ্য। নিজের অর্থ, শ্রম ও সময় দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন-নেতৃত্ব মানেই ক্ষমতা নয়, বরং দায়িত্ব ও সেবা। গতকাল সাভার-১৯ আসনের মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে একটি নাম জননেতা রাশেদুল আহসান রাশেদ। তার মতো একজন শিক্ষিত, অভিজ্ঞ, ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন ও মানবিক নেতৃত্ব পেলে এই জনপদের চেহারা পাল্টে যেতে পারে বলে বিশ্বাস করে এলাকাবাসী। বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলেই মনে করে, তিনি যদি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তবে সত্যিকারের নেতৃত্বের জয় হবে। রাশেদুল আহসান রাশেদ একজন সংগঠিত, দৃঢ়চেতা ও দেশপ্রেমিক নেতা-যিনি অতীতেও আন্দোলন, সংগ্রাম ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থেকেছেন এবং ভবিষ্যতেও জাতীয় স্বার্থে কাজ করে যেতে প্রস্তুত। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত এই সাহসী মানুষটি হতে পারেন (সাভার আশুলিয়া) ঢাকা-১৯ আসনের আগামী দিনের উন্নয়ন ও কল্যাণের কান্ডারী।
